ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক থা সা মা ন্য

ছবিটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে

তৌফিকুল ইসলাম
🕐 ১:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৬, ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, ইরানি চলচ্চিত্র গবেষক ড. মুমিত আল রশিদ ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম যৌথ ছবি দিন- দ্য ডে নিয়ে খোলা কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ছবিটির মূল উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম

দিন- দ্য ডে ছবি নির্মাণের শুরুর দিকে...

আমরা গত বছরের শেষের দিক থেকে মূলত এ কাজটা শুরু করি। অনন্ত জলিল যখন প্রথম ইরানে যান, তখন ঢাকাস্থ ইরানিয়ান কালচারাল সেন্টার থেকে আমার বন্ধু মুরতাজা অতাশ জমজম যিনি ছবিটির পরিচালক, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সে আমাকে একদিন বলল, মুমিত ঢাকা থেকে অনন্ত জলিল নামে একজন নায়ক ফোন করেছেন। তিনি ইরানে আসবেন, তুমি কি করতে পারো? আমি প্রথম দিকে একটু ব্যস্ত ছিলাম, আমি বললাম ঠিক আছে বাংলাদেশ থেকে আসবেন। দেখা যাক কি করতে চান? তারপর তিনি ইরানে যাওয়ার পর আমি কন্টিনিউ ছিলাম তার সঙ্গে, এয়ারপোর্ট থেকে একেবারে সর্বশেষ বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত। এর মাঝে আমরা ইরানের খুনে সিনেমা বা সিনেমা বাড়ি যেটাকে ইরানের এফডিসি বলা হয় তার পরিচালকের সঙ্গে কথা বললাম, ইরানের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান মিস্টার ইরাজ তাকি পুর তার সঙ্গে আমরা মিটিংয়ে বসলাম, তারপর ফারাবি সিনেমা তাদের সঙ্গেও আমরা মিটিংয়ে বসি।

অনন্ত জলিলের পরিকল্পনা...
এরপর সেখানে মূলত কথা বলছিলেন অনন্ত জলিল ভাই, তিনি আইএস নিয়ে ছবি বানানোর কথা বলছিলেন, কারণ যেখানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ আইএসে গিয়েছে এবং সেটা নিয়ে তারা এরকম ছবি বানাবে বলে জানায়। আমরা প্রথমে ইরান থেকে মানা করি। কারণ তখন আসলে আইএস মোটামুটি নির্মূল হয়ে গিয়েছিল, আর আমাদের বক্তব্য ছিল একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের নিয়ে আবার আমরা সিনেমায় দেখাব। এটার একটা বাজে ইফেক্টও হতে পারে। যাই হোক, আল্লাহর শুকরিয়া যে বাংলাদেশ সরকারও আইএস নিয়ে ছবি করার পারমিশন দেয়নি। তখন আমরা প্ল্যান করলাম এটা নিয়ে আমরা কী করতে পারি?

স্ক্রিপ্ট তৈরি...
তবে তার আগে স্ক্রিপ্টটা নিয়ে প্রচুর নাড়াচাড়া হয়েছে। আমার হাতে স্ক্রিপ্টের মোটামুটি সব অনুবাদ করা, একবার ফারসি থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ফারসি। প্রায় ২০ বারের অধিক এটা অনুবাদ করেছি। আমার ল্যাপটপ অনন্ত জলিল সিনেমা ফোল্ডার নামে ভরে গেছে। যদিও প্রথম তিন মাস আমরা আইএসকেন্দ্রিক গল্প নিয়েই নাড়াচাড়া করলাম। তবে ইরান ও বাংলাদেশ সরকার ছবির অনুমতি না দেওয়ায় তখন আমরা বললাম তাহলে তো বেটার। আমরা বলেছিলাম দরকার নেই বরং একটা কাজ করি, সামাজিক বা রোমান্টিক মুভি করি। কিন্তু অনন্ত ভাই বললেন তিনি যেহেতু অ্যাকশন মুভি করেন, তাই আমরা ছবিটাকে ড্রাগসের দিকে ঘুরিয়ে দিলাম। কারণ ড্রাগসটা বিশ্বব্যাপী বড় সমস্যা। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ইরানের একটি বড় সমস্যা। কারণ হচ্ছে আফগানিস্তান হচ্ছে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের মধ্যে। আফগানিস্তানে আফিমের জন্য যে পপি চাষ হয়, সেটা মূলত আফগানিস্তান থেকে ইরান ও তুরস্ক হয়ে ইউরোপের দিকে চলে যায়। আমরা বললাম, ঠিক আছে এটা নিয়ে কাজ করবো। এভাবেই আসলে পথচলা।

সংশোধন পর্ব...
এটাকে মোটামুটি প্রায় দশের অধিক সংশোধন করা হয়েছে। তারপর ইরান সরকারও এটাকে মোটামুটি পছন্দ করেছে। তবে আমরা মূলত যেটা করছি অনন্ত জলিলের মূল আইডিয়া, সেটাকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। যেহেতু তিনি এখানে ছবি প্রযোজনা করবেন, বিনিয়োগ করবেন সেহেতু আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।

ইরানের ভূমিকা প্রসঙ্গে...
ইরানের সামরিক বাহিনী থেকে আমরা অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি। এখনো ইরানে শুটিং হচ্ছে। ইরানের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে আমরা বিমান ব্যবহার করতে পারছি। আফগানিস্তান সীমান্তে আমরা শুটিং করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল, আর যেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম যৌথ ছবি সেহেতু আমি মূল উপদেষ্টা হিসেবে এখনো কাজ করে যাচ্ছি এবং এটার অনুবাদক ও ইন্টারপ্রেনার হিসেবে কাজ করছি।

ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছাই...
আমাদের আসলে মূল উদ্দেশ্য ছিল অনন্ত ভাই ও বর্ষা ভাবিকে আমরা ভিন্ন রূপে দেখাবো বাংলাদেশের মানুষের জন্য। তবে ছবিটি অ্যাকশন নির্ভর। এখানে আমরা ইরান থেকে প্রচুর সংখ্যক পারফরমার নিয়েছি। আমাদের ছবির মূল ভিলেন আমির হোসাইন সিদ্দিকি। তিনি অসাধারণ একজন অভিনেতা, তাকে আমরা মূল ভিলেন হিসেবে দেখিয়েছি। তিনি আফগানিস্তানের অধিবাসী ও ইন্টারন্যাশনাল মাফিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি আমরা টার্কি থেকে অভিনেত্রী নিয়েছি। আমরা লেবানন থেকে বিখ্যাত অভিনেতা মাজদি মাশমুশিকে নিয়েছি।

ছবির দৃশ্য উপস্থাপন...
আমরা এ ছবিতে বাংলাদেশ ও ইরানের কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে অনন্ত ভাই বলেছিলেন, ইরানের প্রতি আমাদের আলাদা একটা প্রেম আছে। সে কারণে ইরানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ও বিভিন্ন ভালো ভালো স্পটগুলো আমরা দেখাবো। সে দৃশ্যগুলো আমরা তুলে ধরছি। তবে বাংলাদেশের কৃষ্টি, কালচার বলতে গেলে বাংলাদেশ পর্বে আমরা কতটুকু পারবো জানি না।

বাংলাদেশ ও ইরান অংশে...
ছবিটি আমরা দুটি অংশে বিভক্ত রাখছি, একটি হলো ইরান অংশ। ইরান অংশে আমরা ১০০ মিনিট রাখবো। আর বাংলাদেশ অংশে আমরা ১৩০ মিনিট রাখবো। সেহেতু বাংলাদেশ অংশে তিনটা গান অ্যাড হবে। ইরান অংশে যে গানটা রিলিজ করবো, সে গানটা বাংলাদেশের বেলাল খান এবং ইরানের গায়ক মোহাম্মাদ রেজা হেদায়াতি মিলে গেয়েছেন। বাংলাদেশের বিখ্যাত একজন কবি তার নামটা এখন বলছি না, তার কবিতাকে আমি ফারসিতে অনুবাদ করেছি; তারপর ওখানকার গীতিকার আবদুল জব্বার কাকায়ি সেটিকে গানে রূপ দিয়েছেন। এ গানটাকে আমরা দুই দেশেই রিলিজ দেব, কিন্তু অন্য গানগুলোতে নারী কণ্ঠ থাকায় সেখানে রিলিজ দেওয়া সম্ভব নয়, সে গানটার মধ্যে আমরা চেষ্টা করেছি ইরানের ঐতিহাসিক যত স্থান আছে বিশেষ করে ইস্পাহান নগরী, সিরাজ নগরী যেখানে শেখ সাদীর মাজার, হাফিজ সিরাজীর সমাধি রয়েছে, সি ও সি পোল, পারসেপোলিস দেখানো হয়েছে। পারসেপোলিস ইরানে অবস্থিত বিখ্যাত রাজপ্রাসাদ, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এখানে আক্রমণ করেন এবং পরবর্তীতে গ্রিসে পারসেপোলিসের অনুকরণে অ্যাকরোপোলিস নির্মাণ করা হয়। এ রকম সব ঐতিহাসিক স্থান দেখাবো। সিনেমার বাকি দুটি গান আমরা বাংলাদেশ অংশে দেখাবো।

ছবির বৈশিষ্ট্য...
ছবিটির অ্যাকশনে একটু ভিন্ন ঘরানা তৈরি করেছি। কারণ আমরা বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের ছবির কথা যদি বলি তাহলে কিছুটা পরাবাস্তব বিষয় দেখা যায়। আর ইরানের ছবি হচ্ছে বাস্তবনির্ভর। এ সময়েও নিজস্ব ভাবনার মধ্যে অস্কার ও কানে তাদের ছবি যাচ্ছে। আমাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল, বিশেষ করে আমার যেহেতু আমি দীর্ঘদিন ইরানি ছবি নিয়ে কাজ করি, ইরানি ছবিতে একবার অভিনয়ও করেছি। তারপর থেকে ইরানের বড় বড় সিরিয়াল অনুবাদ করে যাচ্ছি। আমার ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশের কিছু জিনিস ইরানের লোকজন দেখুক। ওই চিন্তাধারা থেকেই এটার প্রতি আমি আকৃষ্ট ছিলাম।

শুটিংয়ের বর্তমান অবস্থা...
এখন এটার সঙ্গে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা লেগে আছি, এখনো আছি। কারণ প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশের সময়ে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা শুটিং হচ্ছে। শুটিংয়ের ফাঁকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, কখনো কোথাও কোনো অনুবাদ করা লাগলে সেটা করে দিচ্ছি। ফারসি থেকে বাংলা করে দিচ্ছি, বাংলা থেকে ফারসি করে দিচ্ছি। ডায়লগগুলো লিখে দিচ্ছি। আশা করা যাচ্ছে, এ ছবিটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভালো হবে এবং অত্যন্ত মানসম্মত একটি ছবি হবে। এ হলো আমার প্রাথমিক ধারণা এবং এখন পর্যন্ত আমরা ছবির ৭০% কাজ করেছি। আরও ১০ শতাংশ বাকি আছে ইরানে, সে কাজও আমরা করবো। তারপর ২০-২৫% কাজ আমরা বাকি রাখবো, সে অংশের শুটিং আমরা টার্কিতে করবো। কোরবানির ঈদের পর আমরা শুটিং করবো। এই হলো ছবিটার বর্তমান অবস্থা।

ইরানের সঙ্গে প্রথম যৌথ ছবি হিসেবে মূল্যায়ন...
অনন্ত জলিলের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের প্রথম যৌথ ছবি এটি, সেই হিসেবে মুরতাজা অতাশ জমজম ইরানি পরিচালক হিসেবে যিনি দিন-দ্য ডে ছবি করছেন, তার একটা উদ্দেশ্যই হচ্ছে প্রথম ছবি হওয়ায় আমরা সুন্দর ছবি হিসেবে এটি ডেলিভারি দেব। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ যেন আকৃষ্ট হয় এবং ইরানের সঙ্গে ছবি করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

ছবির নাম দিন-দ্য ডে করার কারণ...
এটা আসলে অনন্ত জলিল ভাইর নিজের দেওয়া নাম দিন দ্য ডে অর্থাৎ ডে, এটা ইসলাম ধর্মের দ্বীন না আসলে। তার প্রত্যেকটা ছবির ক্ষেত্রে বাংলা নামের পাশাপাশি ইংরেজি নাম দেওয়া থাকে। উনি প্রথমে যেটা করেছিলেন, ধারণাটা এরকম ছিল তিনি আইএস জঙ্গিদের নিয়ে করবেন এবং সেখানে তিনি একটা সিন দেখাবেন যে ধীরে ধীরে সূর্য উদয় হচ্ছে, প্রজাপতি উড়ছে বাগানে, মানুষজন, বাচ্চা ছেলে- মেয়েরা মক্তবে যাচ্ছে, মানুষজন ফজর নামাজ পড়ে ফিরছে, সূর্যটা ধীরে ধীরে উঠছে, মানুষ বিভিন্ন কাজ-কর্মে ব্যস্ত। এ হলো দিনের শুরু, দিনের মূল থিমটা তিনি এভাবে বলতে চেয়েছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তখন তিনি এভাবে বলেছেন দিন-দ্য ডে অর্থাৎ মানুষ কর্মচাঞ্চল্য দিন শুরু করলো, এরপর বিভিন্ন দেশে আক্রমণ হলো সিরিয়াকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তারপর দিনের শেষে সূর্য যখন ডুবে যাচ্ছে, এটাই দিন-দ্য ডে এভাবে বলতে চেয়েছেন। তবে পরবর্তীতে যেহেতু সিনেমার কাহিনী পাল্টে গিয়েছে, বিশেষ করে আমরা মাদক নিয়ে করেছি সেখানেও তিনি বলতে চেয়েছেন যেহেতু নামটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে চলে গিয়েছে; তাই দিন-দ্য ডে এ নামটা থাকুক। আমরা ইরানে কিন্তু নামটা পাল্টে দিচ্ছি। ইরানে ছবিটির নাম হচ্ছে নির্ভানা। নির্ভানা হচ্ছে ফার্সি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে একক বা অদ্বিতীয় শক্তি। ঐশ^রিক শক্তি যেটি। ইরানে এ নামেই আমরা ছবিটি রিলিজ করবো, ইরানে আমরা দিন-দ্য ডে নামটা রাখবো না।

বাংলাদেশের সিনেমাতে অনন্ত জলিল অনেকগুলো বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করেছেন। তার প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও এসেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
এটা স্বাভাবিক, প্রত্যেকটা জিনিসেরই সমালোচনা থাকবে, প্রশংসা থাকবে, আলোচনাও থাকবে। এখনো পর্যন্ত ক্যামেরার যে প্রযুক্তি, আমরা এইটকে ক্যামেরা ব্যবহার করছি; যেটা বাংলাদেশে কারও কাছে এখন পর্যন্ত নেই। এইটকে রেজুলিউশনের ক্যামেরা একটাই আছে সেটা অনেক কষ্ট করে খুঁজে পেতে হয়। আমরা আমাদের সবগুলো ক্যামেরায় হাই রেজুলিউশন ব্যবহার করেছি। সেখানে অ্যাকশনগুলো আমরা বাস্তবিক অর্থে দেখানোর চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে আমরা তার বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখেছি, তিনি গাড়ি বিস্ফোরণ করিয়েছেন। এটা মূলত প্রযুক্তিগত দিক থেকে তিনি দেখিয়েছেন।

অ্যাকশন দৃশ্যে...
এখানে আমাদের বিশেষ করে যে অ্যাকশনগুলো দেখা যাবে, সেখানে আমরা শতভাগই নিজেরা করছি ডামি দিয়ে। ইরানের বিখ্যাত স্ট্যান্টম্যান আমির হোসেন খানজারি তিনি নিজেই ইরান ও আফগানিস্তানে ডামি হিসেবে ভয়ংকর অ্যাকশন দৃশ্যগুলো করেছেন। আফগানিস্তান পর্বে দেখা যাবে যে একটি গাড়ি বিস্ফোরিত হচ্ছে, সে নিজেই এ গাড়িটিকে বেশ কয়েকবার আকাশে উল্টিয়েছে। সে অভিজ্ঞ ও বিখ্যাত স্ট্যান্টম্যান।

ক্যামেরার ব্যবহার...
প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত ক্যামেরার ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যেহেতু ইরানের চলচ্চিত্র কলাকুশলীরা অস্কারের জন্য ছবি বানায়, কানের জন্য ছবি বানায়; এক্ষেত্রে ডিরেক্টর মুরতাজা সে প্রথম থেকেই বলেছে তার খুব ইচ্ছে হচ্ছে অস্কার ও কানের জন্য ছবি বানাবে। তার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা, আমরা আসলে জোর করেই তাকে এর মধ্যে ইনভলভ করেছি। তাকে বলেছি আমাদের বাংলাদেশ থেকে যেহেতু তুমি আগে ডকুমেন্টারি মুভি করে গিয়েছো এবং বাংলাদেশে তুমি পরিচিত, ২/৩ বার এসেছো। সেহেতু তুমি বাংলাদেশের আবহাওয়া ও কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে পরিচিত। এখন আমরা তাকে নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিগত দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, ক্যামেরার দিক থেকে বা আমাদের যারা হ্যান্ডস রয়েছে তাদের মোটামুটি ইরানের এক নম্বর গ্রুপ বলা যায়; আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এ ছবির মাধ্যমে অনন্ত জলিলের আরেকটা ক্যারিশমেটিক দিক যুক্ত হবে এবং বাংলাদেশের মানুষ এটি পছন্দ করবে। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এ ছবিটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ইনশাআল্লাহ।

 

 
Electronic Paper