ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাদারীপুরে বেহাল সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা

নিত্যানন্দ হালদার, মাদারীপুর
🕐 ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৫, ২০১৯

মাদারীপুরে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সেতু নির্মাণ করা হলেও তিন কিলোমিটারের বেহাল সড়কের কারণে সেতু দুটি পূর্ণাঙ্গভাবে কাজে আসছে না। সেতু দুটি চালুর পর ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহন বিকল্প সড়কটি ব্যবহার করলেও এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বিগত ২ বছরে এ সড়কে অর্ধ শতাধিক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন এবং আহত হয়েছে শতাধিক। দেবে যাওয়া অপ্রশস্ত সড়কে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলজিইডি সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয় যুবকরাই নেমেছে সড়কটি সংস্কারের কাজে।

ধুরাইলের সরদারকান্দি গ্রামের মো. মোকলেছ মাতুব্বর জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সরকারিভাবে সড়কের মেরামত কাজ করার কথা থাকলেও তা না করায় উত্তর বিরঙ্গল পূর্বপাড়া বন্ধন স্মৃতি সংঘের সদস্যরা সড়ক মেরামত করায় তাদের ধন্যবাদ।

ধুরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মৃধা এলজিইডির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাদারীপুরের শম্ভুক ও হবিগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর দুটি সেতু নির্মাণ করায় বরিশাল থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত স্বল্প দূরত্বের এ সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কিন্তু হবিগঞ্জ শাজাহান খান সেতু থেকে শম্ভুক শেখ কামাল সেতু পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এ সড়ক মেরামতের জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল তা পাওয়া যায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি পূর্বপাড়া বন্ধন স্মৃতি সংঘের সদস্যরা মেরামত করায় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, মাদারীপুরের হবিগঞ্জ ও শম্ভুক সেত নির্মাণ হওয়াতে ঢাকার সঙ্গে যাওয়া-আসা সহজ হয়েছে এবং যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এ সড়কটি ভেঙে যায়, কোনো কোনো জায়গায় দেবে যায়। এলজিইডি মেরামতের ব্যবস্থা না করায় স্থানীয় একটি যুব সংগঠনের উদ্যোগে মেরামত করায় তাদের ধন্যবাদ।

 
Electronic Paper