সাফল্যের গল্প
সবার সেরা তামান্না
রায়হান মাহবুব
🕐 ২:০১ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৯
চা-পাতার রাজধানী পুণ্যভূমি সিলেটের মেয়ে তামান্না। বাল্যকাল থেকে কিছুটা ডানপিটে স্বভাব আর অদম্য সাহসী এ মেয়েটি তার খেলাধুলার জীবনে অনেক সম্মান আর পদকে ভূষিত হয়েছেন।
ভলিবল, টেবিল টেনিস, বাস্কেটবল, হকি, দৌড়, দীর্ঘ লম্ফ, সব ক্রীড়াঙ্গনেই তার সমান পদযাত্রা এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা রয়েছে। আর এ ধারাবাহিকতার সর্বশেষ অর্জন বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পসে মেয়েদের মধ্যে সবার সেরা কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আনিকা রহমান তামান্না।
গত ২৭ এপ্রিল আর্মি স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশহগ্রহণকারী ৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা খেলোয়াড়দের মধ্যে তামান্নার হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেন।
বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৫টি স্বর্ণপদক অর্জন করে এ অ্যাথলেট। অ্যাথলেটিক্স পর্বের সাতটি খেলার মধ্যে ২০০ মিটার দৌড়ে ২৮.৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক, ১০০ মিটার হারডেলসে ১৭.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপক এবং ৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেন তামান্না। জানতে চাইলে তামান্না বললেন তার ক্রীড়াঙ্গনে আসার ইতিহাস। জানালেন বাবা-মা, শিক্ষক ও সহপাঠীদের অনুপ্রেরণার কথা। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তামান্নার ছিল প্রবল আগ্রহ আর অসীম নেশা।
বিকেএসপি থেকেই ২০১০ সালে তামান্না জাতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করেন। এখান থেকেই তামান্না যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। সর্বপ্রথম বিকেএসপির হয়ে সে অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠিত হকি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে নিজ ঘরে পুরস্কার তুলে আনেন। ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ইনভাইটেশন গেমসে স্বর্ণ ও ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্তি ছিল বিদেশের মাটিতে তামান্নার বড় অর্জন।
এছাড়া সে দেশের মাটিতে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দ্রুততম মানবীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬টি গোল্ড মেডেল অর্জন করেন। সুনামগঞ্জের এ অসামান্য প্রতিভাবান তামান্না বর্তমান পড়ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষে।