ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কমলগঞ্জে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৯

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বেশ কয়েক দিনের তাবদাহের কারণে ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। যবুক, বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বৃদ্ধ ও শিশুরাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন। এ জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের শরীরের তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করে। ভাইরাস জ্বরের সাথে রয়েছে মাথাব্যথা ও সর্দি-কাশি। ঘরের একজন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই বাড়ির সবাইকেই রোগে পড়তে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট চেম্বারগুলোতে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চাপ অনেক বেড়েছে। তবে এ জ্বরের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিরূপ আবহাওয়াকেই দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে।

কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখাতে আসা আমেনা বেগম জানান, অতিরিক্ত গরমের কারণে সাত দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানাবন্দি ছিলাম। আমার বড় ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। জ্বরের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছি না। মাথায় খুব ব্যথা,সাথে সর্দি-কাশি আছে।

ভানুগাছ বাজারে এক প্রাইভেট চেম্বারে নূরজাহান চাবাগান থেকে ডাক্তার দেখাতে আসা বৃদ্ধা রায়বান বেগম জানান, বয়সের ভারে কাবু হই গেছি। জীবনের এত বছর পার করি আইলাম কিন্তু এবারকুর মতো গরম কোন বছর পাইছিনা। ইজাত গরম আর সহ্য করতাম পাররাম না। গরম সহ্য করার বয়সও আর আছে নিরে বাবাইন। তিন দিন ধরি জ্বরে আক্রান্ত। কোনো ওষুধই শরীরের জ্বর কমাইত পারে না। জ্বরের কারণে শরীর একেবারে দুর্বল হই গেছে। খানির (খাওয়ার) রুচিও নাই।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মুন্না সিন্হা জানান, এটা ভাইরাসজনিত জ্বর। এটা জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হাঁচি ও কাঁশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার কারণে প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বরের রোগী বেশী। এ ধরনের জ্বর সাধারণত ২-৩ দিন অতিবাহিত হয়। জ্বর হলে প্রথমত প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন তিনি।

 
Electronic Paper