দুই দেশের প্রতিনিধিত্ব
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯
ক্রিকেট ইতিহাসে একজনের সম্পূর্ণ আলাদা দুটি দেশের হয়ে খেলার নজির আছে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার আবদুল হাফিজ কারদার ভারতের হয়ে টেস্ট খেলেছেন। ভারত-পাকিস্তান দুই দলের হয়ে টেস্ট খেলেছেন আমির এলাহী ও গুল মুহাম্মদও। এরা সবাই সাতচল্লিশের দেশভাগ-পূর্ব সময়ে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ক্যারিয়ারের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পরে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। জেজে ফেরিস, মিডউইন্টার, ডব্লুএল মারডক, এ ই ট্রট, এসএমজে উডস এমন কয়েকটি নাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা এসসি গুইলেন পরে নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে খেলা ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় উদাহরণ নবাব পতৌদি। বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের দাদা ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদির বাবা নবাব সাহেব ভারতের হয়ে খেলার আগে খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে।
জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা জন ট্রাইকস এক সময় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতেন। দুই দেশের হয়ে খেলার আরও একটি বড় উদাহরণ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলস। আশির দশকে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন বর্ণবাদের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে নির্বাসিত, ওয়েসেলস তখন খেলতেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। হালের ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের ইয়ন মরগান প্রতিনিধিত্ব করছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। হল্যান্ডের ডার্ক ন্যানেস খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে।