স্বপ্ন-সম্ভাবনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট
আশফাকুর রহমান
🕐 ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৬, ২০১৯
বাংলাদেশে ক্রিকেট এখন জাতীয় আবেগের নাম। এক সময় ফুটবল নিয়ে মতামাতি ছিল, কিন্তু ক্রিকেট জ্বর অনেক আগেই তাকে হারিয়ে দিয়েছে। দেশে এখন ক্রিকেটের একক রাজত্ব।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে নিজস্ব ক্রিকেট খেলা আয়োজনের ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ৩১ মার্চ, ১৯৮৬ তারিখে পূর্ণাঙ্গ শক্তিধর ও টেস্ট খেলুড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। দলের অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে যায়। সাত উইকেট হাতে রেখেই পাকিস্তান কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে।
২৬ জুন, ২০০০ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সদস্যের মর্যাদা লাভ করে। বোর্ডের নাম পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নামকরণ হয়। ১০-১৩ নভেম্বর, ২০০০ সালে বাংলাদেশ দল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হয়। খেলায় ভারত দল নয় উইকেটে জয় পায়।
২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে জয়ের পরিসংখ্যান হলো শতকরা ৭.৫২ ভাগ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৯৩টি খেলায় জয় পেয়েছে মাত্র সাতটি, ড্র করেছে ১৫টিতে আর পরাজিত হয়েছে ৮১টি ম্যাচে। তবে ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশে টেস্টের চেয়ে অনেক বেশি সফল।
২০১৫ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফলতা ছিল গর্ব করার মতো। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা, ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করা এবং ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল ‘টাইগাররা’।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে অনেক উচ্ছ্বাস আছে, আছে প্রশংসাবাক্য। এই উচ্ছ্বাস এবং প্রশংসাবাক্য সাবেক ও বর্তমান বিশ^খ্যাত ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাকিব আল হাসান। তাই একদিন বিশ^কাপের স্বপ্ন তো বাংলাদেশ দেখতেই পারে।