প্রথম দিনেই রুমিনে উত্তপ্ত সংসদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৯
বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ। সংসদে যোগ দিয়ে প্রথম দিন শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে রুমিন বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।’ এরপরই সংসদ কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রুমিনের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
গতকাল মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদের বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই মিনিট বক্তব্য রাখলেও সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের চিৎকার, চেঁচামেচি ও প্রতিবাদের কারণে সংসদ কক্ষে কেউ রুমিনের বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি।
এ সময় স্পিকার সরকারি দলের সদস্যদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালেও কেউ শোনেননি।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) সংসদে আমার প্রথম দিন। যে কোনো রাজনীতিবিদের মতোই সংসদে আসা, সংসদে দেশের কথা, মানুষের কথা বলা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, আমি এমন একটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছি, যেই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। নির্বাচনের পরপরই যদি আপনারা টিআইবির রিপোর্ট দেখেন, বিদেশি গণমাধ্যম, বিদেশি পর্যবেক্ষক, নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেখেন তাহলে দেখবেন এই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সুতরাং আমি খুশি হব যদি এই সংসদের মেয়াদ আর একদিনও না বাড়ে।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমি এমন একটি সংসদে দাঁড়িয়ে আছি যে সংসদে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার কারাবরণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের, গণমানুষের নেত্রী, যিনি জীবনে কোনো দিন, কোনো আসন থেকে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি সেই খালেদা জিয়া এই সংসদে নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে, একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় আজকে কারাগারে ১৬ মাসের অধিক সময় আটকে রাখা হয়েছে। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, খালেদা জিয়ার মামলার মেরিট, তার শারীরিক অবস্থা, তার সামাজিক অবস্থান এবং তার যে বয়স, সবকিছু বিবেচনায় তিনি তাৎক্ষণিক জামিন লাভের যোগ্য।’
রুমিন আরও বলেন, সরকারের হুমকিতে আমাদের অ্যাকটিং চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন না। আমাদের শীর্ষ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত একেকজনের নামে শত শত মামলা।
এই পর্যন্ত বলার পর সময় শেষ হওয়ায় স্পিকার তাকে ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য শেষ করার কথা বলে বলেন, বক্তব্য শেষ করুন। পরে আবার বলার সুযোগ পাবেন।