ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯

জ্বলে ওঠার অপেক্ষা টাইগারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, জুন ১১, ২০১৯

যেন এক সন্ধিক্ষণের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। গত দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারটা ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু। সেমিফাইনালে খেলতে হলে আজকের ম্যাচটা প্রায় ‘ডু অর ডাই’। লঙ্কানদের বিরুদ্ধে কাক্সিক্ষত জয় তুলে নিতে মরিয়া টাইগাররাও। বিকাল সাড়ে ৩টায় খেলা শুরু হবে ব্রিস্টলে।

 

 

যথারীতি বৃষ্টির শঙ্কা থাকছেই। এবারের বিশ্বকাপে এটাই যেন দলগুলোর বড় শত্রু। বৃষ্টির তাণ্ডবে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে টসই হতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ শুরু হলেও থেমে গেছে অষ্টম ওভারে। কাল দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচও ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা লড়াইয়ের সামনেও বৃষ্টির চোখ রাঙানি।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শুভসূচনা করলেও পরের দুই ম্যাচ হেরে বেশ চাপের মধ্যে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করতে লঙ্কানদের হারাতেই হবে মাশরাফির দলকে। কিন্তু ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে লড়াইয়ের উত্তেজনায় জল ঢেলে দিতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হতে পারে।

মাশরাফি তাই আবহাওয়া নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ওভার কমে গেলে আমাদের জন্য সমস্যা হবে। তবে যা-ই হোক, সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা অবশ্য পুরো ম্যাচই খেলতে চাই। ম্যাচ যদি একেবারেই না হয় তাহলে আমাদের জন্য সমীকরণ অনেক কঠিন হয়ে যাবে। শেষ দুই ম্যাচের অন্তত একটি জিতলে হয়তো এতটা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। ম্যাচটা হওয়া তাই খুবই জরুরি আমাদের জন্য। আমরা চাই, ম্যাচটা যেন মাঠে গড়ায়।’

বৃষ্টির দুশ্চিন্তা নিয়েই গতকাল সোমবার অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন মাশরাফিরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৬ রানে ধরাশায়ীর ম্যাচটিতে দৈন্য ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল টাইগারদের ঢিলেঢালা ফিল্ডিংও। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই হয়তো প্রধান কোচ স্টিভ রোডস নিজেই শিষ্যদের ফিল্ডিং অনুশীলন করালেন। লং ক্যাচ, রানআউট করতে দ্রুত বল থ্রো সব রকম আয়োজনই ছিল। দলের সবার মধ্যে ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন সাকিব। সকালে মাঠে এসে রানিং শেষে কিছু সময় কোচিং স্টাফের সঙ্গে খোশগল্পে কাটিয়ে নেমে গেলেন অনুশীলনে। লঙ্কা বধের মিশনে মারমার-কাটকাট ব্যাটিং, ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি টাইট বোলিং অনুশীলনে নিজেদের শানিয়ে নিয়েছেন মাশরাফি, রুবেলরা।

আইসিসি র‌্যাঙ্কিং, দলীয় শক্তি ও সম্প্রতি পারফরম্যান্স সব বিচারেই লঙ্কানরা পিছিয়ে। তাই ওই ম্যাচটাকে ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে বাংলাদেশ। যে করেই হোক আজকের খেলায় জিতেই মাঠ ছাড়তে চায় টিম বাংলাদেশ।

মিরাজ জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শক্তিশালীভাবে ফিরে আসতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে, আমরা আমাদের সেরাটাই দেব। আমরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে কেবল আগামী ম্যাচগুলোর দিকেই নজর রাখব। কারণ, যে তিনটি ম্যাচ খেলেছি সেগুলো এখন অতীত।’

তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২। তার মানে অবশ্যই সব শেষ নয়। এই বিশ্বকাপের শুরুতেই একটা হিসাব মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গেছে। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে ৬টি জয় লাগবে। তা-ই যদি হয়, তাহলে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণটা যথেষ্টই কঠিন। বাকি ছয় ম্যাচে পাঁচটি জয় পেতে বাংলাদেশ দলকে ছাড়িয়ে যেতে হবে আগের সব সাফল্য। ছয়টি জয়ই যে পেতে হবে, কে তা বলতে পারে! পাঁচ জয়ও কেটে দিতে পারে সেমিফাইনালের টিকিট। কঠিন, কিন্তু তাই বলে একেবারে অসম্ভব

 
Electronic Paper