নীলফামারীতে কৃষকের ঈদ আনন্দ মলিন
নীলফামারী প্রতিনিধি
🕐 ৮:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ০৩, ২০১৯
এবার ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মনে নেই ঈদ আনন্দ। কারণ ধান বিক্রি করে তাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না। এছাড়া ধানের বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। উৎপাদন খরচ পরিশোধ করতে অনেককে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ধানের দামের প্রভাব পড়ছে নীলফামারীর ঈদ বাজারে। ঈদের মাত্র কয়েকদিন বাকি কিন্তু এখনও জমেনি ঈদের কেনাকাটা। কাপড়ের দোকানগুলো প্রায় ক্রেতা শূন্য।
ধানের দাম না থাকায় ঈদের আনন্দ নেই দাবি করে নীলফামারী সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের মানুষমারা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন,‘ধান হাটোত নেয় না বাহে। তিন বিঘা জমিত বোরো ধান আবাদ করি কৃষাণের টাকায় উঠে না। হামার ফির ঈদ আছে নাকি?’
সদরের রামনগর ইউনিয়নের বিশমুড়ি গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, ‘বেশির ভাগ পরিবারই অর্থাভাবে ছেলে মেয়েদের জামা-কাপড় কিনে দিতে পারছে না। হাতে টাকা না থাকায় এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শতকরা ৮০ ভাগ কৃষক পরিবার। এবার ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক। পানির দামে দিলেও কেউ ধান নিতে চায় না। ধান এখন কৃষকের গলার কাটা হয়ে গেছে। হাটে পাইকারও পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও তিন বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। ফলনও বাম্পার হয়েছে। প্রতি বিঘায় ২২ মণ করে ধান হয়েছে। ন্যায্য দাম পেলে সার ও পানির টাকা পরিশোধ করার পর ঈদে ইচ্ছেমতো খরচ করা যেত। প্রতি বিঘায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’