ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কৃষকের ঈদে হতাশা

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
🕐 ৯:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ০১, ২০১৯

কয়েক দিনের মধ্যেই আসছে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ ঈদ কেমন কাটবে মৌলিক চাহিদা পূরণের কারিগর কৃষকের? তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শুধু কি কৃষকের, না তার পরিবারে অবুঝ শিশু সন্তানটিরও।

সেই অবুঝ শিশু সন্তানটি তার বাবাকে বলছে আমরা কি এ ঈদে নতুন জামা-কাপড় পাব না। তখন সেই বাবা অবুঝ শিশুটির কথার কোনো উত্তর না দিয়ে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে নীল আকাশের দিকে। তার কারণ অভিশপ্ত হয়ে উঠেছে কৃষকের আস্থার ফসল ধানের দরপতন। বেশি দাম পাবে বলে ধারদেনা, গৃহপালিত পশু বিক্রি করে কৃষক ধান চাষ করে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ধান বিক্রি করতে গিয়ে উৎপাদিত খরচের অর্ধেক দাম পাচ্ছে না তারা।

আর এ ঈদ কেমন কাটবে তা সংশয়ে দিন পার করছে রানীশংকৈলের কৃষক। চলতি বোরো মৌসুমে ধানের দাম ভালো না থাকায় ঈদের আনন্দ কৃষকের মাঝে নেই বল্লেই চলে।

ঈদ মানে আনন্দ আর খুশি। আর ঈদে একটু বেশি আনন্দ বা খুশি হতে কৃষকরা ধানের ওপর নির্ভর করছে। তারা তাদের ঘামঝরা পরিশ্রমের ফলে এ উৎপাদিত ফসল নিয়ে হতাশার মধ্যে দিন পার করছেন। কৃষকের পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এ কৃষক। এই কৃষকের ওপর নির্ভর করে পরিবারের সব সদস্যদের আনন্দ। ঈদকে উপলক্ষ করে বাজারে ধান বিক্রি করতে গেলে উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে বাজারে রেখে আসতে হচ্ছে কৃষকের একমাত্র সম্বল এ ধান।

ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের মূল্য দেওয়া হলেও এখনো কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হচ্ছে না। লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকের মাধ্যমে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। আর তা করছে প্রভাবশালীরা।

 
Electronic Paper