ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজধানীর বাজারদর

সেমাই চিনি মসলার দোকানে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:১৬ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৯

দোরগোড়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর। রমজানের শুরু থেকে রাজধানীর কাঁচাবাজারে উপচেপড়া ভিড় ছিল। এখন ঈদ চলে আসায় অন্য পণ্যসামগ্রী কিনছেন ক্রেতারা। বাজারে এখন সেমাই, চিনি, মসলা আর পোলাও চালের দোকানে কেনাকাটা জমেছে। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বেশ তড়িঘড়ি করেই গতকাল বৃহস্পতিবার সেমাই-চিনি কিনতে দেখা গেছে জিল্লুর রহমানকে। তিনি আজ শুক্রবার সকালেই নিজ গ্রামে ফিরবেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। গ্রামে খুব বেশি ভালোমানের সেমাই মেলে না। ফলে প্রতিবছর তিনি ঢাকা থেকে সেমাই নিয়ে নেন আত্মীয়স্বজনদের জন্য। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।

এদিকে সেমাই-চিনি, পোলাও চাল নিয়ে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও চেইন শপগুলোতেও চলছে বিশেষ আয়োজন। এসব দোকানে এখন চোখে লাগা স্থানে সেমাইয়ের বাহারি আয়োজন। আর ভালো পণ্য খুঁজতে ছুটছেন ক্রেতারাও। কারণ গত কয়েক বছরের মতো এবারের রমজানের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেজাল সেমাই উদ্ধার করেছেন। এতে জনমনে আসল ও নকল সেমাই নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বাজারে সেমাই, চিনি ও পোলাওয়ের চালের দামে তেমন হেরফের হয়নি। তবে মসলার দাম কিছুটা বাড়তি। আর দুধের বাজারে ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে তত উত্তাপ বাড়বে।

কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিপণিগুলোতে চলছে বাংলা সেমাই, লাচ্ছা সেমাই, চিনি, গুঁড়োদুধ, নারকেল, কিশমিশ, বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, ঘি, সয়াবিন, সুগন্ধি চাল, প্যাকেটজাত খাবার, টক ও মিষ্টি আলুবোখারা, চেরি ফলসহ বিভিন্ন ধরনের সস, মসলা ও ফলমূলের বেচাকেনা পর্ব। কারওয়ানবাজারে বিক্রেতা এনামুল মুনি বলেন, শুক্রবার থেকেই বাজার আরও জমবে। চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত। এখন যারা কিনছেন তারা গ্রামে নেওয়ার জন্য। আর ঢাকার স্থানীয়রা চাঁদ রাতে সেমাই-চিনি কেনেন বেশি।

জানতে চাইলে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে লম্বা সাদা ও লাল সেমাই, খোলা ও প্যাকেট লাচ্ছা, সেমাইয়ের দাম আগের মতো রয়েছে। হাতেগোনা কিছু কোম্পানি ছাড়া বেশির ভাগ কোম্পানির প্যাকেটজাত সেমাইও রয়েছে আগের দামে। আর চিনি এখন ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সেটা প্যাকেটজাত হলে ৬০ টাকা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সাদা সেমাই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর বেশি প্রচলিত ২০০ গ্রামের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর বাজারে চিনিগুঁড়া পোলাওয়ের চাল খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। বিক্রেতারা আরও জানান, গত বছরের মতো এবারও ঈদে তরল দুধের সংকট থাকবে।

কারণ বাজারে প্যাকেট তরল দুধের সরবরাহকারীরা ঈদের তিন দিনের ছুটিতে দুধ সরবরাহ করবেন না। বাজারে গুঁড়োদুধের মধ্যে প্রতি কেজি ডিপ্লোমা ৫৬০ টাকা, ডানো ৫৬০ টাকা, গ্রিনল্যান্ড ৩৫০ টাকা এবং মার্কস ও ফ্রেশ দুধ ৪৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদ সামনে রেখে অন্য মসলার দাম তেমন না বাড়লেও এলাচের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। কিছুদিন আগেও এক কেজি এলাচের দাম ছিল ২৪০০ টাকা।

এখন বেড়ে হয়েছে ২৮০০ টাকা। তবে প্রতি কেজি কিশমিশ ৩৫০ টাকা, কাজুবাদাম ৮০০ টাকা, পোস্ত বাদাম ২০০০ টাকা, তেজপাতা ১৩০ টাকা, দারুচিনি ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ ৯০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ৮০০ টাকা এবং কালো গোলমরিচ ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

 
Electronic Paper