ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রজনী

মাওলানা আমীর হামজা
🕐 ১২:২৪ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৯

মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদরের অন্য নাম শবেকদর। কদরের রাতে অজস্র ধারায় আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। এ রাতে এত অধিকসংখ্যক রহমতের ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন যে, সকাল না হওয়া পর্যন্ত এক অনন্য শান্তি বিরাজ করে পৃথিবীতে।

লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই রাতের ফজিলত ও তাৎপর্যও অপরিসীম। কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি একে নাজিল করেছি শবেকদরে। 

শবেকদর সম্পর্কে আপনি কী জানেন? শবেকদর হলো হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা আল কাদর : ১-৫)।

যেহেতু এ রজনী অত্যন্ত মহিমান্বিত ও সম্মানিত তাই এ রজনীকে লাইলাতুল কদর বলা হয়ে থাকে। আবার এ রাতে যেহেতু পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ফেরেশতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় সে কারণেও এ রজনীকে কদরের রজনী বলা হয়।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, শবেকদরে হজরত জিবরাইল (আ.) ফেরেশতাদের বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ নামাজরত অথবা জিকিরে মশগুল থাকে, তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন। (তাফসিরে মাজহারি)।

লাইলাতুল কদর কবে? অনেকেই মনে করেন ২৭ রমজানই লাইলাতুল কদরের রাত। আসলে এ ধারণাটি সঠিক নয়। রসুলুল্লাহ (সা.) কখনো বলেননি যে, ২৭ রমজানের রাত কদরের রাত। তবে ২১ রমজান থেকে নিয়ে ২৯ রমজান পর্যন্ত বিজোড় যে কোনো রাতই শবেকদর হতে পারে।

রসুল (সা.) বলেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। (মুসলিম : ১১৬৯)।

 
Electronic Paper