পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিকে নির্দেশনা দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের চাহিদাপত্রও তারা হাতে পেয়েছে। এই বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সবচেয়ে বেশি ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষাতে প্রভাষক ৯০৫ জন, কারিগরি শিক্ষা বিভাগে প্রভাষক ১০ জন নেওয়া হবে। প্রশাসন ক্যাডারে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পুলিশে ১০০, সহকারী সার্জন (স্বাস্থ্য) ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জনকে নেওয়া হবে।

এ ছাড়া পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক পদে ৮ জন নেওয়া হবে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেল মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ৩ জন নেওয়া হবে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন নেওয়া হবে।

সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যতে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন নিয়োগ পাবেন।

পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) ১৫ জনসহ মোট ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তাকে এই বিসিএসে নিয়োগ করা হবে।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ৪১তম বিসিএসের চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ১৩৫ জনকে (ক্যাডার) নেওয়া হবে। এখন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে কয়েকটি বিসিএসের কাজ আছে। এগুলো শেষ করে এ বছরে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।