ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিলুপ্তিপ্রায় গুরিন্দা মসজিদ

জসিম উদ্দিন, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
🕐 ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯

মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন শিল্পের অন্যতম নিদর্শন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার তালতলী ইউনিয়নের সড়কপথে উলানিয়া যাওয়ার মাঝখানে রাস্তার পূর্ব পাশে অবস্থিত গুরিন্দা জামে মসজিদ। কালের সাক্ষী এ মসজিদটি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন বিলুপ্তির পথে।

গুরিন্দা জামে মসজিদ নির্মিত হয়েছিল বাকলা চন্দ্রদ্বীপ মুসলিম আধিপত্যের প্রায় সূচনালগ্নে। মসজিদের মূল ভবনটি প্রায় ৩৬০ বর্গফুট ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট বর্গাকৃতির। এর উচ্চতা প্রায় ১৬ ফুট। এটি একটি একতলা মসজিদ। এর ওপর দেখতে পাওয়া যায় বড় একটি গুম্বুজ। অনেক দূর থেকেই চোখে পড়ে এটি। এর একটি মাত্র গম্বুজ বলে অনেকে এ মসজিদটিকে একগম্বুজ মসজিদও বলে থাকেন। মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে ভূমি বা মাটি থেকে প্রায় চার ফুট উঁচু থেকে।

মসজিদটির সামান্য দূরে (দক্ষিণ) দেখতে পাওয়া যায় একটি বৈঠকখানা। মসজিদটি কবে এবং কে নির্মাণ করেছিলেন তা নিয়ে অবশ্য এলাকার প্রবীণরা অনেক ধরনের কথাই বলছেন। অনেকের ধারণা, এ অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে ১৪৬৫ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মোবারক শাহের চন্দ্রদ্বীপ বিজয়ের আগে। তখন এ এলাকায় মুসলমান বণিকরা ব্যবসা করতে আসতেন বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে। অনেকে মন্তব্য করেন, মোবারক শাহর আগে কেউ এখানে কোনো মসজিদ নির্মাণ করেছে এমন প্রমাণ মেলেনি। আবার নবাবি আমলে এ অঞ্চল শিয়া মুসলমানদের যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার লাভ করেছিল। ওই সময় বরিশাল পটুয়াখালী অঞ্চলে বেশ কিছু মসজিদ নির্মাণ করেন শিয়া মুসলমানরা।

জানা গেছে, এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস বয়ে গিয়েছিল বাকলা চন্দ্রদ্বীপের ওপর দিয়ে। এটি হয়েছিল প্রায় ১৫৮৪ সালে। এতে ওই স্থানের চার লাখ লোকের মধ্যে মারা যায় অর্ধেকই (দুই লাখ)। ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক আগেই গুরিন্দা জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মসজিদের বিষয়টি আমি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যাতে সংস্কার করা হয়।

 
Electronic Paper