ভোলায় গরমে বাড়ছে রোগ বালাই
ভোলা প্রতিনিধি
🕐 ৫:১৯ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৯
গত তিন দিন ধরে ভোলার তাপমাত্রা কখনো ৩৫ আবার কখনো ৩৪ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমের কারণে বাড়ছে বিভিন্ন রোগবালাই। ভোলা সদর হাসপাতালে ১০০টি শয্যার বিপরীতে রোগী রয়েছে তিন শতাধিক। ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগী নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। শয্যা না থাকায় মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। ডাক্তার-নার্সদেরও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, গরমের কারণে রোগীদের চাপ একটু বেশি। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগীদের চাপ অনেক বেশি। শয্যা সংকট থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা।
বিশেষ করে ডায়রিয়া, মেডিসিন, শিশু ও গাইনি ওয়ার্ডে রোগীদের চাপ অনেক বেশি। একদিকে অসহনীয় গরম অন্যদিকে শয্যা সংকট থাকায় ঠিকমতো চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪৩ জন রোগী রয়েছে। সেখানে শয্যা না থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে রোগীদের। ফ্লোরে বিছানায় কোনো রকম চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা।
একই চিত্র পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডেও। ডায়রিয়া ও মেডিসিন ওয়ার্ডের দায়িত্বরত নার্সরা জানান, অতিরিক্ত শয্যায় কিছু সংখ্যক রোগী থাকলেও চাপ একটু বেশি। তাই অনেকেই মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভোলা সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে। এখানে ৬৫টি নার্সের পদের বিপরীতে নার্স থাকলেও ডাক্তার রয়েছে চাহিদার অর্ধেক। এখানে ২২টি ডাক্তারের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ১১ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে ইসিজি মেশিন মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে যায়। এছাড়া আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন দীর্ঘদিন থেকে বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ একটু বেশি। শয্যা সংকট থাকায় আমরা অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করেছি।
কিন্তু তারপরও তিন শতাধিক রোগী রয়েছে। আমাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। ডাক্তার চেয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে আমরা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।