স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষা
তারিকুল ইসলাম
🕐 ২:০৮ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৯
প্রতিটি অভিভাবক স্বপ্ন দেখেন তার সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য যেন তার সন্তান নিজের ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করতে পারে। আর শিক্ষার্থীরা চান নিজের পছন্দের বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করতে। কিন্তু কখনো কখনো সেই উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সচ্ছলতা। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে হাতেগোনা যে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে মেরিট স্কলারশিপ দিয়ে থাকে তার মধ্যে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ অন্যতম।
এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫৪৭ শিক্ষার্থীকে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা মেরিট স্কলারশিপ প্রদান করেছে শারাফাত চৌধুরী ফাউন্ডেশন। ভবিষ্যতে এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আরও ৩০ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা করেছেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ শারাফাত।
শারাফাত চৌধুরী ফাউন্ডেশনের নামকরণ করা হয়েছে শারাফাত হোসেন চৌধুরীর নাম অনুসারে। তার সুযোগ্য ছেলে ড. চৌধুরী নাফিজ শারাফাতের উদ্যোগে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। শারাফাত হোসেন চৌধুরী ১৯৩৬ সালের ৭ জুন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। আইনশাস্ত্রে অধ্যয়নের পর তিনি আইন পেশা বেছে নেন এবং পরবর্তীতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত ন্যায় ও নিষ্ঠাবান একজন ব্যক্তি।
একদিকে তিনি আইনজীবী হিসেবে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন, অপরদিকে তিনি দীন দরিদ্র মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত করে রেখেছিলেন।
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ বিশেষ বৃত্তিমূলক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে, সব শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ শর্তহীন বৃত্তি অন্যতম। অন্যদিকে, মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া, যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসি দুটিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে তারা শতভাগ টিউশন বৃত্তিসহ প্রতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে ৩টি স্কুল বা অনুষদের অধীনে ৯টি প্রোগ্রামে শিক্ষাদান করা হয়। এরমধ্যে, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের অধীনে সিএসই, ইইই ও সিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্স; বিজনেস স্কুলের অধীনে বিবিএ, এমবিএ ও ইএমবিএ; স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের অধীনে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন, ডিপার্টমেন্ট অব ল’ এবং ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ ব্যাচেলর ডিগ্রি প্রোগ্রামে শিক্ষাদান করা হয়। এ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত প্রোগ্রামভিত্তিক ক্লাবসহ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, মিডিয়া ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, রোবটিকস ক্লাস, ইংলিশ ক্লাব, প্রোগ্রামিং ক্লাব, ল’ ক্লাব, ভোলান্টিয়ারস ক্লাব ও বিনামূল্যে রক্তদান ক্লাব রয়েছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়টি কানাডা, ইউএসএসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে যাহা বিশ^বিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানে সহায়তা করছে।
‘প্রায়োগিক শিক্ষায় উজ্জীবিত’ হয়ে এ দেশের শিক্ষার্থীরা যাতে হাতে-কলমে নর্থ আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং একই সঙ্গে অর্জিত জ্ঞানের বাস্তবধর্মী প্রয়োগ করতে পারে সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। মূলত বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য এ ইউনিভার্সিটি বিদেশি উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষকরা, সর্বাধুনিক শিক্ষা-উপকরণ, ল্যাব, উন্নত ক্লাসরুম, ই-লাইব্রেরি, কমনরুম ও খেলাধুলার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্যান্য গঠনমূলক সামাজিক কার্যকলাপে যোগদানে অনুপ্রাণিত করে সিইউবি যার ফলে, শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সুগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়।