ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান

সরওয়ার হোসেন
🕐 ৪:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯

প্রশ্ন : পতঙ্গ প্রাণীদের কীভাবে চেনা যাবে?
উত্তর : পতঙ্গ প্রাণীরা আর্থ্রোপোডা পর্বের। এরা সব পরিবেশে বাস করতে পারে। এদের অনেকে ডানার সাহায্যে উড়তে পারে। এদের মাথায় এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের দ্বারাই পতঙ্গদের সহজে চেনা যায়।
প্রশ্ন : কুনোব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তর : কুনোব্যাঙ জীবনের প্রথম অবস্থায় পানিতে বসবাস করে এবং মাছের মতো বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়; কিন্তু পরিণত বয়সে ডাঙায় বসবাস করে। এ জন্য কুনোব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয়।

প্রশ্ন : শ্রেণিবিন্যাস প্রয়োজন কেন?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা নিচে দেওয়া হলো
(১) শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে পৃথিবীর সব উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পর্কে জানা যায়।
(২) নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য।
(৩) প্রাণিকুলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়।
(৪) প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান অর্জন করা যায়।
প্রশ্ন : শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কিত জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণিবিন্যাস বিদ্যা বলে। এটি ভৌত জীববিজ্ঞানের একটি শাখা।
প্রশ্ন : ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয় কেন?
উত্তর : ক্যারোলাস লিনিয়াস একজন সুইডিস প্রকৃতিবিদ ছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন এবং দ্বিপদ বা দুই অংশবিশিষ্ট নামকরণ প্রথা প্রবর্তন করেন। এ জন্য ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয়।
প্রশ্ন : হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তর : হাইড্রার দেহ দুটি ভ্রুণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত। দেহের বাইরের দিকের স্তরটি অ্যাক্টোডার্ম ও ভেতরের স্তরটি অ্যান্ডোডার্ম। এ জন্য হাইড্রাকে দ্বিস্তরী প্রাণী বলা হয়।
প্রশ্ন : তারা মাছকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তর : তারা মাছের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুই অংশে ভাগ করা যায়। এ জন্য তারা মাছকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয়।
প্রশ্ন : গোলকৃমি কেন নেমাটোডা পর্বের প্রাণী?
উত্তর : গোলকৃমি নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত। এদের শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র নেই। এরা এক লিঙ্গ। এদের দেহগহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃত সিলোম নেই। এ জন্য গোলকৃমি নেমাটোডা পর্বের প্রাণী।
প্রশ্ন : মানবদেহে নটোকর্ডের অবস্থান ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : মানুষ কর্ডাটা পর্বের ভার্টিব্রাটা উপপর্বের ম্যামালিয়া শ্রেণির প্রাণী। মানুষের দেহে নটোকর্ড আছে। নটোকর্ড হলো একটি নরম, নমনীয়, দণ্ডাকার, অখণ্ডায়িত অঙ্গ।
মানবদেহে নটোকর্ড শুধু ভ্রুণীয় অবস্থায় পৃষ্ঠীয় রেখা বরাবর অবস্থান করে। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এটি মেরুদণ্ডে পরিণত হয়।
প্রশ্ন : দ্বিপদ নামকরণ/বৈজ্ঞানিক নাম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুই অংশ বা পদবিশিষ্ট হয়। এই নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলে। বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাটিন বা ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়। যেমন মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens।
প্রশ্ন : পরিফেরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত কেন?
উত্তর : বহুকোষী প্রাণীদের মধ্যে পরিফেরা পর্বের প্রাণীরা সরলতম প্রকৃতির। এদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এই ছিদ্রপথে পানির সঙ্গে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে। এদের কোনো পৃথক সুগঠিত কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র থাকে না। এ জন্য পরিফেরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত।

সরওয়ার হোসেন
সিনিয়র শিক্ষক
সাতারকুল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

 

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper