ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঈদযাত্রায় ভোগান্তি

এখন থেকেই ব্যবস্থা নিন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:১১ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০১৯

প্রতিবছর ঈদ এলেই যাত্রী সাধারণের ভোগান্তির শেষ থাকে না। একে তো ভাড়ার বিড়ম্বনা, অন্যদিকে রয়েছে যানজট ও ভাঙাচোরা রাস্তার দুর্ভোগ। সবমিলিয়ে ফি-বছর ঢাকাসহ বাড়ি ফিরতে চাওয়া লোকগুলো যেন যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এবারও ঈদযাত্রার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তির আশঙ্কা চাড়া দিয়ে উঠছে। এ ছাড়াও, গত বছরের মতো এ বছরও বৈরী আবহাওয়ার মৌসুম হওয়ায় নৌ ও সড়কপথে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। রাস্তায় দীর্ঘ যানজট এবং অনেক জায়গায় চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সবমিলিয়ে ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা নিয়ে সাধারণ মানুষ ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন বলছে, আগামী ১৭ মে বাস এবং ২২ মে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করব। তবে, রাজধানীতে থাকা বিপুলসংখ্যক মানুষের অনেকের ভাগ্যেই জুটবে না সেই টিকিট। ফলে বাধ্য হয়েই তাদের বিকল্প ভাবতে হবে। অর্থাৎ ভোগান্তি অবধারিত। তাছাড়া প্রতিবছর তৎপরতার পরও বাহনগুলোতে ভাড়ানৈরাজ্য বন্ধ করা যায়নি। সবমিলিয়ে টিকিটের বাড়তি দাম, পরিবহন সংকট, ভাঙাচোরা রাস্তা, দীর্ঘ যানজট, ট্রেন-লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই, আসন সংকট, বৈরী আবহওয়া ইত্যাদি ঝুঁকি নিয়ে এবারও সাধারণকে ঈদ কাটাতে বাড়ি ফিরতে হবে; এমন ধারণা করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ঈদের এক সপ্তাহ আগে মহাসড়কগুলোর মেরামত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে, যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠনগুলো বলছে, ঈদযাত্রার জন্য সড়ক, রেল এবং নৌপথ কোনোটাই প্রস্তুত নয়। সড়ক-মহাসড়কের বেহালদশার কারণে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হবে সবাইকে। সরকার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের নির্দেশনায় ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো সংস্কার এখনো চলমান। যদি তা শেষ না হয় তবে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি দূর করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণপরিবহন সমিতি, রেল-নৌ কর্তৃপক্ষ, সরকারি মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকেই কার্যকর এবং সমন্বিত উদ্যোগ নিলে ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে।

প্রতিবারের মতো এবারও আমরা বলছি, সাধারণের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পরিবহন খাতকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাস্তার হয়রানি রোধ করে সাধারণ মানুষের ঈদকে আরও বেশি আনন্দময় করে তুলতে হবে। সারা বছর মাত্র দুই ঈদে মানুষ পথের দিকে চেয়ে থাকে, কখন বাড়ি ফিরবে? তাদের এটুকু চাওয়া পূরণ করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। তাই, রাস্তায় সব ধরনের দুর্ভোগ নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক তদারকি করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। কোনোভাবে যেন এবারের ঈদে অনাকাক্সিক্ষত বা দুর্ঘটনা না ঘটে, এখন থেকেই সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper