ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রোজা এলেই বাড়ে পণ্যমূল্য

এই ‘রীতি’ থেকে মুক্তি চাই

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:২৬ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯

বছর বছর রোজা এলেই নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি যেন একটি ‘রীতি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদেশগুলো যেখানে রোজাদারদের সহায়তায় প্রতিযোগিতা করে পণ্যের দাম কমাচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে উল্টো চিত্র। অনিয়ন্ত্রিত পণ্য গুদামজাত, সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, ভেজাল; সবকিছু মিলিয়ে রোজা এলেই পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে শুরু হয় ‘ইঁদুর-বিড়াল’ খেলা। প্রশাসন বাজার তদারকির দায়িত্ব নিলেও তা শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের আশ্বাসের পর বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। পরিস্থিতি এমন, অসৎ ব্যবসায়ী এবং মুনাফাখোরদের এই লোভ যেন কেউ কোনোদিন দমাতে পারবে না।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন বলছে, এবারও রোজা শুরু হওয়ার আগেই খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী এবারও সবজি, মুদিমাল, ছোলা, ডাল, তেল, ফলফলাদি, মাছ-মাংসসহ এমন কোনো ভোগ্যপণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। এর মানে হচ্ছে, রোজাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ী শ্রেণি সাধারণকে সর্বস্বান্ত করছে। বাজারে গেলেই পণ্যের দামে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির। নিম্নবিত্তরা এক্ষেত্রে তালিকার বাইরে। বছর বছর এভাবে চলা বাজার অর্থনীতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মুষ্টিমেয় লোকজনের দুর্নীতি-অনিয়মের শিকার হচ্ছে দেশের বেশির ভাগ মানুষ। অথচ, সরকার-প্রশাসনের ভূমিকা এক্ষেত্রে নীরব।

প্রতিবছর রোজার আগে থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। মাঝে মধ্যে ভাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলেও তা গণনার বাইরে। মন্ত্রী মহোদয়রা শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার কথা জানালেও পরবর্তীতে তা চুপসে যায়। কেন এমনটা হয়? এ প্রশ্ন অমূলক নয়। তবে কি সবার যোগসাজশেই সাধারণের ক্ষতি হচ্ছে। অনেকে পণ্যের দাম বাড়ার জন্য পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করছেন। এদের যদি থামানোই না যায়, তাহলে প্রশাসনের কাজ কি? কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা আসতেই শুধু কলার দাম যদি চারগুণ বাড়ে তবে রাস্তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক লোকজন কী করে? ব্যাপারটি এমন হতে পারে ‘যে বেড়া রক্ষা করবে ক্ষেত, সেই বেড়াই ক্ষেত নষ্ট করছে’।

আমরা বলতে চাই, শুধু মুখের কথা আর বুকভরা আশ্বাস দেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। যেভাবে উদ্যোগ নিলে বাজার এবং পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে। চাঁদাবাজি এবং সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভেদ করে সাধারণের সুবিধা বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতারও বিকল্প নেই।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper