ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

তাপদাহে অতিষ্ঠ সবাই

প্রকৃতিকে নির্মল করুন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০১৯

বেশ কিছুদিন যাবৎ গরমে অতিষ্ঠ মানুষসহ প্রাণিকুল। সূর্যের প্রচণ্ড তাপে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বাতাসে বেশি পরিমাণ জলীয় কণা থাকায় দুর্বিষহ গরমে অস্থির দেশের মানুষ। বাদ যায় না পশুপাখি-ফসলাদিও। কয়দিন আগে ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে তাপদাহ বাড়ে। অথচ ঘূর্ণিঝড় কেটে গেলেও গরম কমেনি। দিন যতই যাচ্ছে তাপমাত্রাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আবহাওয়া অফিসও বলছে, এভাবে চলবে আরও কয়েকদিন। সব মিলিয়ে গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাস্তায় চলাচলও দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, ঘরের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শান্তিতে নেই দেশের বেশির ভাগ মানুষ। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

খোলা কাগজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের গরমের হালচিত্র। প্রতিবেদন বলছে, রোজার এই মাসে প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ রোজাদাররা, কাহিল হয়েছে প্রাণিকুল; এছাড়া নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল, বাড়ছে মানুষের রোগবালাই, শ্রমজীবীদেরও উঠেছে নাভিশ্বাস। এদিকে রাজধানীর বাইরে অব্যাহত লোডশেডিং ও তাপমাত্রার কারণে টিকে থাকাও একটি কঠিন ব্যাপার। গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর এত গরম পড়তে পারে বা পড়বে এমন ধারণা করেনি কেউ। প্রকৃতির এই বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে গণহারে গাছপালা নিধন এবং পরিবেশ দূষণের কারণে। অথচ, ভালো-মন্দ সব কিছুর সঙ্গেই জড়িত মানুষ।

সত্য হলো, দিন দিন আমরাই প্রাকৃতিক পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছি। ক্রমবর্ধমান হারে শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি, পরিকল্পনা না করে বৃক্ষ নিধন, পানি-বায়ু দূষণ, পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ না করায় এই প্রভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া তাপদাহে খরা দেখা দিয়ে ফসলেও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, ভবিষ্যতে যার প্রভাব পড়াও অমূলক নয়। পাশাপাশি গরম সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হচ্ছেন অনেক মানুষ। যারা বাইরে কাজ করেন তাদের যে পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে তা লিখে শেষ করার নয়। বিষয়গুলো মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃক্ষরোপণসহ পদক্ষেপ না নিলে সামনের দিনগুলোতে যে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে তা অনায়াসে বলা যায়।

একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে হলে আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অথচ, আমাদের দেশে এই সংখ্যা ১৭-এর নিচে। জনসংখ্যার চাপ, যাতায়াতের রাস্তা, শিল্পকারখানা এবং নগরায়নের কারণে দিন দিন গাছপালার সংখ্যা কমছে। আর এতেই তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ দেখা দিয়েছে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, বজ্রপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কয়েক দশক আগেও দেশের পরিস্থিতি এমন ছিল না। খুব কম সময়ের মধ্যে সুন্দর পরিকল্পনা করে সবাই মিলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ রুখে দিতে হবে। নিজেদের টিকে থাকা এবং নতুন প্রজন্মকে একটি সুন্দর-নির্মল রাষ্ট্র উপহার দিতে হলে সরকার সংশ্লিষ্ট মহলসহ সাধারণকেও এখনই সচেতন হতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper