সুপার সাইক্লোন ‘ফণি’
বিবিধ ডেস্ক
🕐 ১:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ০৮, ২০১৯
উল্লেখযোগ্য ঘূণিঝড় ‘ফণি’। ৩ মে ভারতের ওডিশায় আঘাত হেনে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যায় প্রলয়ংকরী এই ঝড়। ওডিশায় নিহত হয় কমপক্ষে ৩৩ জন, বাংলাদেশে এই সংখ্যা ১৬। ঘূণিঝড়টির ‘ফণি’ নাম দিয়েছে বাংলাদেশ; এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। বিশ্বে আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি অনুসারে মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী দেশগুলো সম্মিলিতভাবে প্রত্যেকটি ঝড়ের নামকরণ করে।
ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে আবহাওয়া সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান; যাদের প্যানেলকে বলা হয় ডাব্লিউএমও বা ইএসসিএপি।
আঞ্চলিক দেশগুলো একেকটি ঝড়ে আটটি করে নাম প্রস্তাব করে। এবার ঝড়ের ‘ফণি’ নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। এরপরের ভারত মহাসাগরে হওয়া ঝড়ের নাম ‘বায়ু’ হচ্ছে ভারতের প্রস্তাব অনুযায়ী। তারপরে আরো ছয়টি ঝড়ের জন্য ইতোমধ্যেই তালিকা হয়ে আছে। সেগুলো হলো- হিক্কা, কায়ার, মাহা, বুলবুল, পাউয়ান এবং আম্ফান।
সংস্থার বিধি অনুযায়ী, যতদিন না পর্যন্ত ঝড়গুলো সংঘটিত হচ্ছে ততদিন নামগুলো বাক্সবন্দি করে রাখা হবে। তবে, ফণির ইতিহাস যাই হোক না কেন, এতে ক্ষতির পরিমাণ সর্বোচ্চ। আবহাওয়া অফিসের অনুমান করা সময়ের আগেই ২০০ কিলোমিটার গতির এই ঝড়ে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ অবর্ণনীয়। গাছপালা, মানুষ, মোবাইলের টাওয়ার, বাড়িঘর কিছুই বাদ যায়নি ফণির ছোবল থেকে। প্রথমে ধারণা করা হয়, বাংলাদেশের থেকে আয়তনে বড় ঝড়টি প্রায় ১০ কোটি মানুষের ক্ষতি করতে সমর্থ। যদিও বয়ে যাওয়ার পর এই সংখ্যা কমেছে।
তবে ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলের যে ক্ষতি ফণি করেছে, তা নিঃসন্দেহে ইতিহাস হয়ে থাকবে। ভারতে সতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক দিন বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসও সতর্কতা জারি করে রেখেছিল। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় যদি ২০০ কিলোমিটার গতিতে ফণির মতো একটি ঝড় আঘাত হানে তবে, দক্ষিণাঞ্চল মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক যেমন ওডিশার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর অবস্থা হয়েছে। পুনর্বাসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রদত্ত ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও ক্ষতি যে পরিমাণ হয়েছে তা এর থেকেও অনেক বেশি।