ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রথম নারী বিশ্বকাপ

রোকেয়া ডেস্ক
🕐 ৩:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০১৯

মেয়েদের ক্রিকেট খেলার ইতিহাস কিন্তু অল্পদিনের নয়। ১৭৪৫ সালের ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডের দুটি গ্রাম ‘ব্রেমলে’ এবং ‘হেমব্লেডনে’র মধ্যে একটি ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমে এই খেলার জগতে নারীদের প্রথম পদার্পণ। সেই গ্রাম দুটির গৃহপরিচারিকারা নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেন। তবে অবাক করা কাণ্ড হলো, পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরুর আগেই নারীদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল।

১৯৭৫ সালে পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়। আর নারীদের ১৯৭৩ সালে। সে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল ইংল্যান্ড। ছেলেদের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুই বছর আগে অনুষ্ঠিত সে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিকরা (ইংল্যান্ড)।

বিশ্বকাপটিতে মোট সাতটি দল অংশ নিয়েছিল। দলগুলো হলো- ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, আন্তর্জাতিক একাদশ এবং ইয়ং ইংল্যান্ড টিম। ‘রাউন্ড রবিন’ পদ্ধতির সে খেলায় প্রতিটি টিম প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকে লড়েছিল।

এই বিশ্বকাপ সম্পর্কে ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক রাসেল হেইহো ফ্লিন্ট বলেন, এই টুর্নামেন্টটি নারী ক্রিকেটের অস্তিত্ব নিয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করেছে। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের এনিড বেকওয়েল এবং লিন থমাস টুর্নামেন্টটির প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন। সে ম্যাচে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড করেছিল ২৫৮ রান।

ফাইনালে ইংল্যান্ড লড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেখানে ইংল্যান্ডের বেকওয়েল আরও একটি সেঞ্চুরি করেন এবং হেইহো ফ্লিন্ট হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৬০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রানসংখ্যা দাঁড়ায় ২৭৯ এবং পরবর্তীতে ৯২ রানের জয় পায় তারা। ফাইনালজয়ী ইংল্যান্ড মোট পাঁচটি ম্যাচ জেতে যেখানে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে তারা শুধু হেরেছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল চারটি ম্যাচ। নিউজিল্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক একাদশ জিতেছিল তিনটি করে ম্যাচ। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো জিতেছিল দুটি, জ্যামাইকা এবং ইয়ং ইংল্যান্ড জিতেছিল একটি করে ম্যাচ।

 
Electronic Paper