জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভবনের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। বেরিয়ে এসেছে মরিচা ধরা রড। বিমে ধরেছে ফাটল। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা। এ অবস্থায় রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ সেবা নিতে আসা রোগীরা রয়েছেন আতঙ্কে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ৫৬ শতাংশ জমি নিয়ে ১৯৫০ সালে মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে টিনশেড ঘরে চালু হয় চিকিৎসাসেবা। দীর্ঘ বছর পর ১৯৯৫ সালে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তর দ্বিতল একটি ভবন নির্মাণ করে।
অভিযোগ রয়েছে, ভবনটিতে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় মাত্র ২৪ বছরের মধ্যেই এটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশের পলেস্তরা খসে পড়েছে। ছাদ ও বারান্দার পিলারগুলোর ঢালাই খসে রড বেরিয়ে এসেছে। পেছনের জানালা ভেঙে পড়ে আছে। সামনের দরজা-জানালারও একই অবস্থা। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ মালামালসহ ওষুধপত্র। এ জরাজীর্ণ ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে নিভৃত পল্লী গ্রামের সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সন্তানকে চিকিৎসা করাতে আসা মহিপুর বন্দরের তানিয়া বলেন, চার বছরের শিশু পুত্রকে চিকিৎসা করাতে এসে দেখি হাসপাতালের ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। তাই ডাক্তারের জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন নার্স বলেন, শুধু রোগীদের ওয়ার্ডের ছাদের অবস্থা খারাপ, বিষয়টি তেমন নয়। তাদের বসার কক্ষসহ এ ভবনের প্রায় সব কক্ষেরই এক অবস্থা। মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্মরত চিকিৎসক সুদিব কুমার পাল জানান, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভবনের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার বিষয়টি মাসিক মিটিংয়ে কয়েকবার উপস্থাপন করেছি।