‘রাফির খুনিদের পক্ষে একটি গ্রুপ মাঠে নেমেছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির খুনিদের বাঁচাতে নানাভাবে তৎপরতা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খবরগুলো ইতোমধ্যে প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন দিক থেকে হত্যা মামলার আসামি ও তাদের দোসরদের পক্ষে একটি গ্রুপ মাঠে নেমেছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সোনাগাজীর মাদরাসা শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, যুবলীগ নেতা নূর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, আব্দুল কাদের, ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকসুদুল হক ও প্রভাষক আবছার উদ্দিনের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে ওই গ্রুপটি। তারা রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরনাও দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। ঘটনায় জড়িত সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ফেনী হলো ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের নিরাপদ জনপদ। সেখানে আওয়ামী লীগের গডফাদারদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তারা তাদের নিজেদের দলের নেতাকেই আগুনে পুড়িয়ে ঝলসে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে একসময় সারাদেশে আলোচিত হওয়া ফেনীতে রাজনৈতিক হত্যা, গুম, অপহরণ, দিনে-দুপুরে অস্ত্র উঁচিয়ে ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, বালুমহাল লুট, বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারে অস্ত্রের প্রকাশ্য মহড়া, সোনার দোকানে ডাকাতি, ব্যাংকের টাকা ছিনতাই ছিলো এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে নিশ্চয়ই জেনেছেন, মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করতে গিয়ে ফেনীর সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন নুসরাত। ওসি তার নিজের কক্ষে ঘটনা জানার নাম করে আরেক দফা হয়রানি করেছিলেন মেয়েটিকে। এ সময় অঝোরে কাঁদতে থাকা মেয়েটির ভিডিও চিত্র ধারণ করা হচ্ছিল। তারপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াও আইনসিদ্ধ নয়। কিন্তু সরকার ওসিকে প্রত্যাহার করেই দায় সেরেছে। এখনও তার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে কৌশলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে আবারও পুরোপুরি বাকশালের নামে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমি আবারও সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।