ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে রোগবালাই

ডা. কাজী নওশাদ হোসেন
🕐 ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০১৯

এখন সময়টা এমন যে কখনো রোদ কখনো আবার ঝুম বৃষ্টি। স্যাঁতসেঁতে এই পরিবেশের কারণেই মূলত, ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়া মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই কারণে এ সময় সাবধান থাকাটা জরুরি। এ সময়ে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, ভাইরাস জ্বর, কলেরা, পেটের সমস্যা, ইনফেকশন, জণ্ডিস এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। তবে সহজ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সহজেই এসব রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।

জ্বর, সর্দি, কাশি : জ্বর, সর্দি, কাশি সাধারণত বৃষ্টির পানি এবং চারদিকে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে খুব বেশি হয়। যাদের রোগ-প্রতিরোধ শক্তি কম (বয়স্ক এবং শিশুরা, তারা খুব বেশি আক্রান্ত হয়। ভাইরাসজনিত হওয়ার কারণে পরিবারের একজনের এই রোগ হলে, অন্যরাও ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সারা শরীর ম্যাজ ম্যাজ ও ব্যথা করে, বারবার হাঁচি হয়, বমি বমি ভাব হয়, চোখ লাল হয়ে যায়, মাথাব্যথা করে, জ্বর ৩-৫ দিন স্থায়ী হতে পারে। জ্বর খুব বেশি হলে এবং ৫-৬ দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডায়রিয়া, আমাশয় : এই সময় অন্য অসুখের মতো নানা ধরনের পেটের অসুখ যেমন ডায়রিয়া, আমাশয় দেখা দেয়। পানির দ্বারা এই রোগ হয় বলে এটাকে পানিবাহিত রোগও বলা যায়। শিশু ও বয়স্কসহ সব বয়সের মানুষের এই অসুখ হতে পারে। এই রোগ থেকে রেহাই পেতে হলে, বিশুদ্ধ পানি পানসহ খাওয়ার বাসনপত্র, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে, অনেক বেশি পানি পান করতে হবে এবং রাস্তার খোলা খাবার পরিহার করতে হবে। ডায়রিয়া হলে স্যালাইন এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে। খাওয়ার আগে পরিষ্কার পানিতে হাত ধোয়া ও ফোটানো পানি পান নিশ্চিত করলে ডায়রিয়া থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

জণ্ডিস : এই রোগের প্রধান উৎস দূষিত পানি। হেপাটাইটিস বা জণ্ডিসের ফলে রোগীর প্রসাব হলুদ হয়ে যায়। রোগীর দুর্বলতা, বমি ভাব, খাবারের প্রতি অনীহা বোধ করে। লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্রম কমতে থাকে।

ছত্রাক সংক্রমণ : ঘাম বা পানিতে বেশিক্ষণ ভেজা থাকলে পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে, কুঁচকিতে, মাথায় ও চুলে ছত্রাক সংক্রমিত হয়। ছত্রাক সংক্রমণে ছত্রাকনাশক ক্রিম এবং চুলে বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।

কৃমি সংক্রমণ : বর্ষাকালেই কৃমির বেশি প্রাদুর্ভাব হয়। এ সময় পানি আর কাদামাটিতে মিশে থাকে এই পরজীবী জীবাণু। তাই অন্য যে কোনো ঋতুর তুলনায় বর্ষায় খুব সহজেই কৃমির সংক্রমণ ঘটে। এই সময়ে সবাইকেই কৃমির ওষুধ সেবন করা উচিত।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

 
Electronic Paper