ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কিশোরীকে গণধর্ষণ, পুলিশ বলছে ‘নাটক’

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
🕐 ১২:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০১৮

লক্ষ্মীপুরের মান্দারীতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, পূর্ব-বিরোধের জের ধরে ধর্ষণের নাটক সাজানো হয়েছে।

বুধবার বিকেলে স্বজনরা নির্যাতিত কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ভুক্তভোগীর পরিবারের ভাষ্যমতে, একই গ্রামের মাতব্বর সফি উল্যার ছেলে মনির তার সহযোগীদের নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ জুন) রাতে সদর উপজেলার মান্দারী মিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলে তারা বিচারের আশ্বাস দেয়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং আইনের আশ্রয় না নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাধা দেয়।
কিশোরীর মা জানান, ঘটনার রাতে দরজা খোলা রেখে তিনি ঘরে নামাজ পড়ছিলেন। কখন যে লোকজন ঘরে ঢুকে মেয়েকে নিয়ে গেছে তিনি টের পাননি। ঘরে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বাইরে এসে বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠেন তিনি। পরে স্থানীয়রা এসে তার মেয়েকে উদ্ধার করেন।
নির্যাতিত কিশোরীর ভাষ্য, ঘুমন্ত অবস্থায় আমাকে ঘর থেকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তুলে বাইরে নিয়ে কয়েকজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষকদের কথাবার্তা শুনে দুইজনকে চিনতে পেরেছি। বিষয়টি মীমাংসা করবে বলে কাউকে জানাতে নিষেধ করেছে স্থানীয় মাতব্বরা।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মনিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা সফি উল্যা বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। নিজেদের ইজ্জত রক্ষার্থে অভিযোগটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছি।
মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম বলেন, গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনেছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কেউ অভিযোগ করেনি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (১২ জুন) রাতে শারীরিকভাবে আঘাতের কথা বলে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায় কিশোরী। বুধবার (১৩ জুন) দুপুরে এসে ধর্ষণের কথা বললে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আহমদ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়। পূর্ব- বিরোধের জের ধরে প্রতিশোধ নিতে এই ধর্ষণ নাটক সাজানো হয়েছে।

 
Electronic Paper