প্রেমময়ী মিশেল ওবামা
ইসরাফিল হোসেন
🕐 ১২:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
১৯৮৯ সালের কথা। এ বছরের একটি দিন সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার জন্য একেবারেই বিশেষ। মিশেল ওবামার সহকারী হিসেবে তার ল ফার্ম শিকাগোর সিডলি অ্যান্ড অস্টিনে কাজ করতে এসেছিলেন এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। সেদিন মিশেলের সহকারী হিসেবে যিনি যোগ দেন, তিনিই বারাক হোসেন ওবামা। ৪৪তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে সাক্ষাতের প্রথম দিন বেশ পছন্দ হলেও তাকে একেবারেই নিজের জুনিয়র হিসেবে দেখতেন মিশেল। তাই প্রথমবার যখন বারাক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মিশেল তাৎক্ষণিক জবাব দিয়ে দেন, আই ডোন্ট ডেট। পরে সেই সমীকরণ অবশ্য বদলে গিয়েছিল। তিন বছর নিজের জুনিয়র সহকারীকেই বিয়ে করেন মিশেল। হয়ে ওঠেন একজন তরুণের স্বপ্নের সারথী। বাকি জীবনের অর্ধাঙ্গী, বন্ধু।
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এই মানুষটি প্রেসিডেন্টের পদে থাকাকালে যে দিক মানুষের নজর কেড়েছিল তা হলো পারিবারিক বন্ধন। স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে হাসিখুশি ওবামার ছবি প্রায়ই প্রকাশ হতো গণমাধ্যমে। যেদিন সকালে জয়ের খবর শোনার পর স্ত্রী মিশেল ওবামাকে জড়িয়ে ধরেন। সেই সন্তুষ্ট ওবামা, একেবারে নিখাঁদ ভালোবাসার আলিঙ্গনাবদ্ধ ছবিটি ফেসবুক, টুইটারে প্রকাশ করে ওবামার নির্বাচনী শিবির। মুহূর্তেই ইন্টারনেট বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত ছবি হয়ে ওঠে এটি।
প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, বিদায়ী ভাষণে স্ত্রী আর কন্যাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন মার্কিন এই সাবেক প্রেসিডেন্ট।
কালো পোশাকে সামনে বসা স্ত্রী মিশেল সম্পর্কে ওবামা বলেন, ‘দক্ষিণের মেয়ে মিশেল লাভন রবিনসন। ২৫ বছর ধরে তুমি শুধু আমার স্ত্রী বা আমার সন্তানদের মা নও, তুমি আমার পরম বন্ধু।’
এক পর্যায়ে চোখের জল রুমাল দিয়ে মুছতে মুছতে ওবামা বলেন, ‘তোমাকে এমন এক ভূমিকা পালন করতে হয়েছে, যা তুমি হয়তো চাওনি। কিন্তু তুমি তোমার মাধুর্য, চারিত্রিক দৃঢ়তা, শৈলী ও প্রফুল্লতা দিয়ে সেই ভূমিকাকে তোমার নিজের করে নিয়েছো।’