কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় ইয়াহিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০১৯
অসহযোগ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু ৩৫ দফা ঘোষণা করেন ১৪ মার্চ ১৯৭১-এ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ১৫ মার্চ এক বিবৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রামের জন্য জনগণকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। এজন্য ত্যাগ স্বীকারের জন্যও প্রস্তুত হতে বলেন তিনি। অসহযোগ চলাকালীন জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ৩৫ দফা নির্দেশনা মেনে চলার প্রতিও জোর আরোপ করেন তাজউদ্দীন আহমদ।
স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানোর যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে উঠিয়ে নেওয়া হয়। এর মধ্যেই ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একদল জেনারেল নিয়ে ঢাকায় আসেন। ওই দিনই ঘোষণা দেন ২৩ মার্চ তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এদিন বায়তুল মোকাররমে আয়োজিত এক জনসভায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ পাকিস্তানের সকল আইন রহিত করার ঘোষণা দেয়।
একই সঙ্গে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই পূর্ব বাংলায় সকল আইন জারি করবেন। পশ্চিম পাকিস্তানের কোনো শাসন আর চলবে না। কারণ ৬ দফা ও ১১ দফার মাধ্যমে পাকিস্তানের সংহতির ফাটা কলসিতে সিমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পাকিস্তান সেটা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তাই জনগণ সে কলসি এখন ভেঙে দিয়েছে। স্বাধীনতা ছাড়া জনগণের সামনে আর কোনো পথ নেই। পৃথিবীর কোনো শক্তিই আমাদের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে পারবে না। সেদিন সংগ্রাম পরিষদ বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে।
পূর্ব বাংলার এ সংকটের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা ভুট্টোকে দায়ী করেন। ভুট্টো করাচিতে সাংবাদিকদের বলেন, একটি কায়েমি স্বার্থবাদী মহল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের ঐক্যে ফাটল ধরাতে চায়। দুই অংশের ভৌগোলিক দূরত্বের কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনের প্রশ্ন প্রযোজ্য হবে না। কেন্দ্রে ক্ষমতা দেশের দুই অংশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে এবং প্রদেশগুলোর ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। পিডিপি নেতা নুরুল আমীন ভুট্টোর প্রস্তাবকে অবাস্তব ও নৈরাশ্যজনক বলে অভিহিত করেন।