নাটক রিভিউ
এক্স বয়ফ্রেন্ড
প্রিন্স সোহান
🕐 ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০১৯
ফিরে আসার গল্পটা যেন সবসময়ই আমাদের মন ভালো করে দেয়। যাপিত জীবনে এত এত চেনা মানুষের ভিড়ে কাছের মানুষটিকে ঘিরে আমরা স্বপ্ন দেখি। সুখের ঘর বাঁধবার চিন্তা করি, প্রিয় সময়টা যেন অমূল্য হয়ে যায় প্রিয় মানুষটা কাছে থাকলে। কত না সুখের গল্পে জীবনের সেরা সময়টা কাটিয়ে দিই প্রিয় মানুষের সংস্পর্শে।
এমনই সম্পর্কের চেনা গল্পের ভিড়ে যখন ছেড়ে যাওয়ার বাস্তবতা চলে আসে, তখন জীবনের চেনাঘর বড় অদ্ভুত মনে হয়। কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসায় এমনতর ঘটনায় মন যে মানে না, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও ফিরে আসতে চায় কাছের মানুষটার কাছে।
পরিচালক কাজল আরেফিন অমি এমনই গল্পে নির্মাণ করেছেন নাটক ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’। যেটা ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ভিউ অতিক্রম করেছে।
নাটকটিতে ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’-এর জুটি আফরান নিশো ও তানজিন তিশার পাশাপাশি নিশোর কাজিনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিন।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, আফরান নিশো একজন গোবেচারা টাইপের বয়ফ্রেন্ড থাকে। যে তার গার্লফ্রেন্ড তিশার শর্টকার্ট পোশাক পরাকেও মেনে নিতে পারে না। কারণ সে চায় না তিশার দিকে কেউ বাজে চোখে তাকাক। এমনকি সে একদিন এ নিয়ে পাড়ার গলির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটে ছেলেদের কাছে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মারও খায়। একদিন সে তার এমন ভালোবাসার কথা জানায় তিশার বেস্ট ফ্রেন্ডের কাছে। এটা নিয়ে তিশা ভীষণ খেপে যায়। একদিন নিশো দেখা করতে গেলে তিশা নিশোকে চরম মাত্রায় অপমান করে এবং আর কখনো দেখা না করার কথা জানিয়ে দেয়।
এরপর ঘটনার মোড় উল্টে যায় নিশো বিদেশ থেকে ফেরার পর। ঘটনাচক্রে দেখা যায় তিশার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারিন। আর তিশা তখন জানতে পারে ফারিনের সঙ্গে নিশোর বিয়ে ঠিক হয়েছে। তাদের ডেটিং ও বিয়ের কেনাকাটা যখন চলতে থাকে তখন ফারিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি নিশোর সঙ্গে তিশার খুনসুটিগুলো দেখবার মতো ছিল।
এক পর্যায়ে তিশা আর সহ্য করতে না পেরে নিশোকে জানিয়ে বসে তাদের আগের সম্পর্ক থাকার কথা ফারিনকে জানানো উচিত কি না। এমনই পরিপ্রেক্ষিতে তিশা একদিন নিশোর সঙ্গে দেখা করতে গেলে নিশো তখন তিশার সঙ্গে আগের অপমানের পুনরাবৃত্তি করে। কিন্তু, কাহিনী এখানেই শেষ হয়ে যায় না। নিশো ও ফারিনের বিয়ের দিন প্রকাশ পায় আসল ঘটনা। নিশো ও তিশা দুজনই দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন এ নাটকে। বিশেষ করে আগের ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’ নাটকের সঙ্গে কোনো মিলই পাওয়া যায়নি এখানে। আর ফারিনের অভিনয়ও ছিল দেখার মতো। নাটকটি একটি কোমল পানীয় কোম্পানির সৌজন্যে ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে।