অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদার আপিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০১৯
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘খালাস চেয়ে আপিলে তার জামিন চাওয়া হয়েছে এবং সাজার কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট অযৌক্তিকভাবে এ মামলায় আমাদের বক্তব্য না শুনেই দুদকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সাজা ১০ বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এ মামলায় খালাস চেয়ে আপিল করা হয়েছে।’
এর আগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদার সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেন।
একইসঙ্গে ৫ বছরের দণ্ডথেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে দেন আদালত। এ ছাড়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপিল ও সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের আপিলের শুনানি সমাপ্ত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এদিনও খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমঅঙ্কে প্রদান করার কথা বলা হয়। পরে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া, কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ পৃথক আপিল করেন।