যেমন ধরি, কোনো নারী পুরুষের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে এখনো সামাজের বড় একটা অংশ নারীদের দোষ দেয়। নারীকে নিয়ে তাদের মন্তব্য হয়তো এমন হয় যে, তুমি মেয়ে মানুষ, ছেলের সঙ্গে মিশতে গেছ কেন? তুমি এর প্রতিবাদ করলে আমাদের সম্মান নষ্ট হবে, আমরা আত্মীয়ের কাছে মুখ দেখাবো কেমন করে। চুপ করে থাকো ইত্যাদি।

আবার যাদের কাছে বিচারের জন্য যাওয়া হয়, তাদের কাছেও অনেক সময় নারীদেরকে নানা ধরনের কথা শুনতে হয়। এটা দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। এসবের কারণে নারীরা অপমানবোধ থেকে আস্তে আস্তে প্রতিবাদ থেকে সরে আসেন। তবে হ্যাঁ, এখন হয়তো অনেক দূর এগিয়েছে সমাজ। তবে সেটা ৩০-৪০ শতাংশের বেশি হবে না। আরও ঢেড় সময় বাকি।

সমাজে নারীদের সবচেয়ে কমন একটা সমস্যায় পড়তে হয় সন্তান প্রসব নিয়ে। পুরুষের কারণেও যদি সন্তান জন্মদানে সমস্যা হয় তাহলেও সেই দায় নারীদের দিয়ে দেই আমরা। অনেক সময় ওই নারীকে সমাজের অনেকেই নানা ধরনের কথা শুনাই। আমরা একটাবারও ভাবি না, ওই নারী সন্তান জন্মদান করতে না পারায় তার ভেতরে কত কষ্ট, তারপরও তাকে কথা শোনালে তিনি একেবারে ভেঙে পড়েন।

আমরা মানুষ হিসেবে নারীদের কল্পনা করতে হয়তো এখনো অনেকেই শিখিনি। অনেকেই সামাজিক ট্যাবুকে চর্চা করি বিভিন্ন আঙ্গিকে।

তাই নারী দিবস হিসেবে নয়, সামাজিক ট্যাবু উঠে যাক।

জাকির হোসেন তমালের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া