‘চিকুনগুনিয়া’ থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা
প্রফেসর ডা. সামনুন এফ তাহা
🕐 ১১:১২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৬, ২০১৯
বর্তমান সময়ের আলোচিত একটি রোগ হচ্ছে চিকুনগুনিয়া। ছোট-বড় সবাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রবীণরা এই রোগে আক্রান্ত হলে তাদের দিকে একটু আলাদা যত্ন নিতে হবে। চিকুনগুনিয়া হচ্ছে ‘চিকুনগুনিয়া’ নামক একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার কামড়ে মানবদেহে সংক্রমিত হয়। সংক্রমণের ২-৪ দিনের মধ্যেই সাধারণত উপসর্গ দেখা দেয় যা কয়েক সপ্তাহ, মাস কিংবা বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই রোগে মৃত্যুঝুঁকি প্রতি ১০ হাজারে একজন বা এর চেয়েও কম। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই রোগের জটিলতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। বাংলাদেশে ২০০৮ সালের দিকে এই রোগের অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে।
লক্ষণ
১. আকস্মিক উচ্চমাত্রার জ্বর (১০৪-১০৫ ডিগ্রি)
২. জয়েন্টে বা গিঁটে ব্যথা এবং ফুসকুড়ি ওঠা।
৩. মাথাব্যথা ও মাংশপেশিতে ব্যথা,
৪. ফটোফোবিয়া বা আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা।
প্রতিকার ও চিকিৎসা
এই রোগ সাধারণত এমনিতেই সেরে যায়। জ্বর ও ব্যথার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খেতে হবে। গিঁটের ব্যথা থাকলে সেখানে ঠাণ্ডা পানির শেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়। প্রচুর পরিমাণ পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে। জ্বর সেরে যাওয়ার পর ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিরোধ
১. মশার বিস্তার রোধে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, এসি ও ফ্রিজের নিচে পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
২. বাড়ির আঙিনা ও নির্মাণাধীন ভবনের পানির চৌবাচ্চা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
৩. দিনের বেলা ঘুমানোর সময়ও মশারি ব্যবহার করতে হবে।
লেখক : প্রবীণ রোগ বিশেষজ্ঞ, এমবিবিএস (ঢাকা), এমআরসিপি (ইউকে), ডিপ্লোমা ইন জেরিয়াট্রিক মেডিসিন (লন্ডন)