খাল নয় যেন মরুভূমি
পানির জন্য হাহাকার
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
🕐 ৯:১৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
পটুয়াখালীর গলাচিপায় শতকরা ৮০ জন মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান সরকারের মূল স্লোগান হল ‘কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’। সেই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, দুই গ্রামের কৃষিকাজের প্রয়োজনে সেঁচ ব্যবস্থার মাধ্যমে খাল থেকে পানি উত্তোলন করে চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন কৃষকরা।
এদিকে গলাচিপার কৃষকদের পানির অভাব পূরণের একমাত্র ভরষাস্থল খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় দুই গ্রামের হাজারো কৃষক কৃষিকাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গলাচিপা উপজেলার অন্তর্গত রতনদি-তালতলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বালির হাওলা ও মেমসাহেব গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত ‘মবার’ খাল। এ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার, প্রস্থ্য প্রায় ৪০ ফুট এবং দুই গ্রামের জমির পরিমাণ প্রায় ৭৭৫ একর। বিপরীতে কৃষকের সংখা প্রায় ৫৬৫ জন। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই এ এলাকার কৃষিকাজের ভরষাস্থল খালটি ভরাট হয়ে পুরো শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে ওই দুই গ্রামের কৃষকরা পানির অভাবে বোরো, আলু, তরমুজ ও মুগডাল চাষসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রান্তিক কৃষক সাহজাহান হাওলাদার, সাহাবুদ্দিন ভূইয়া, ফোরকান মাধবর, আজিজ মাস্টার, দেলোয়ার গাজী ও আনোয়ার হাওলাদার জানান, খালটি অতিদ্রুত খনন না করলে দুই গ্রামের সাধারণ কৃষকদের পথে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।
রতনদি-তালতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, খালটি খনন করার ব্যাপারে আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ ও বিএডিসি উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বাবুর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা উভয়ই খালটি খননের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
উপজেলা বিএডিসি উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান, খালটি খনন করার ব্যাপারে শিঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।