সরিষা ফুলের হাসি
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
🕐 ১০:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
রাজশাহীর বাঘায় সরিষার হলুদ ফুলে ভরে গেছে মাঠ। এ বছর অনেকেই আগাম সরিষা চাষ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। উপজেলার সমতল এলাকার বাইরেও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এ বছর সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ করা হয়েছে। প্রমত্তা পদ্মার বুকে জেগে উঠা বিশাল এ চরের মাঠজুড়ে সরিষার চাষ করে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে কৃষকরা। তাদের মনে এখন নতুন করে আশা সঞ্চার করেছে সরিষা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার মসুর, গম ও বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চাষ বেশি হওয়ায়, আনুপাতিক হারে সরিষার আবাদ কিছুটা কম হয়েছে। এদিক থেকে সমতল এলাকার চেয়ে অনেক বেশি সরিষার চাষ হয়েছে দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চলে।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর উপজেলায় ১২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। গত বছর আবাদ করা হয়েছিল ১৪০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে ০.৯ মেট্রিক টন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা গতবারের চেয়ে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
বাঘার চরাঞ্চলের কৃষক ফজলু শিকদার জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে তিনি সরিষা আবাদ করেছেন। এ আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগে। তার মতে, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার লাভ হবে। তিনি বলেন, সরিষা চাষ করে মানুষ শুধু তেল-ই তৈরি করে না। এ সরিষা ভাঙিয়ে খৈল ও গাছ থেকে ভূষি তৈরি হয় যা গরুর ভালো খাদ্য এবং ভালো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে পলি জমে মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে এ বছর ব্যাপক হারে সরিষার চাষ করা হয়েছে।
বারি-১৪ জাতের সরিষা কৃষকের স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।