এইচএসসি : প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে চিত্র দেবে
পদার্থবিজ্ঞান
খোরশেদ আলম
🕐 ১:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
পদার্থবিজ্ঞানের উভয় (প্রথম ও দ্বিতীয়) পত্রের সৃজনশীল ও বহু নির্বাচনী অংশে কিছু দিকনির্দেশনা জানা থাকলে পরীক্ষার্থীরা সহজেই ভালো করতে পারবে-
জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলো সাধারণত বই থেকে আসে। এর উত্তর সরাসরি দিতে হয় অর্থাৎ এখানে উদ্দীপকের প্রসঙ্গ টানতে হয় না। এ দুটি অংশে ভালো করতে হলে পুরো বইয়ের বিভিন্ন বিষয়বস্তু/টপিকস তালিকা করে নিয়মিত দেখবে।
প্রয়োগমূলক প্রশ্ন উদ্দীপকনির্ভর। এ প্রশ্নে অনেক সময় গাণিতিক সমস্যা থাকে, প্রতিপাদনও থাকতে পারে।
যেমন-একটি সরু ও সুষম দণ্ডের মধ্য বিন্দু বা প্রান্ত বিন্দু দিয়ে গমনকারী লম্ব অক্ষের চিত্র দিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে-চিত্রে প্রদর্শিত অক্ষের সাপেক্ষে দণ্ডটির জড়তার ভ্রামক নির্ণয় করো। অথবা একটি তড়িৎ দ্বিমেরুর অক্ষের বা লম্বদ্বিখণ্ডকের ওপর কোনো বিন্দুর চিত্র এঁকে প্রশ্ন করা হতে পারে-ওই বিন্দুতে প্রাবল্য বা বিভব নির্ণয় করো।
প্রয়োগমূলকের উদ্দীপকে চিত্র থাকলে আগে বুঝে এর পরই উত্তর দেবে। এই অংশে ভালো করতে হলে প্রতিটি অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ চিত্র, লেখচিত্র ও ফর্মুলা বা সূত্রের সম্ভাব্য সব ধরনের প্রয়োগ জানতে হবে। গাণিতিক সমস্যা হওয়ায় এর সমাধানের একাধিক বিকল্প পদ্ধতি থাকলেও ফলাফল একই হবে। তাই এসব প্রশ্নের সমাধান করার সময় সমীকরণ, সূত্র বা ফর্মুলা যাতে নির্ভুল হয় এবং রাশিগুলোর মান বসানোর ক্ষেত্রে এককে যাতে কোনো গরমিল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এককে গরমিল হলে ফলাফল সঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে শুধু সঠিক সমীকরণ লেখার জন্য মাত্র ১ নম্বর পাবে।
প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে অবশ্যই চিত্র দিতে হবে। বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন বইয়ের গাণিতিক উদাহরণ, অনুশীলনীর গাণিতিক সমস্যাবলি এবং বিগত সালের বোর্ড প্রশ্নকে প্রয়োগমূলক প্রশ্নের নমুনা প্রশ্ন হিসেবে সামনে রাখা যেতে পারে। প্রয়োজনে টেস্ট পেপারের সহায়তাও নেয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হবে অধ্যায়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর তালিকা তৈরি করা, যা থেকে প্রয়োগমূলক প্রশ্ন থাকার সম্ভাবনা বেশি। এতে তালিকাকৃত বিষয়গুলোর চিত্র, সূত্র ও সমীকরণ বিভিন্ন টেকনিকের মাধ্যমে বারবার অনুশীলন করে মনে রাখা সহজ হবে।
উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন সম্পূর্ণভাবে উদ্দীপকনির্ভর প্রশ্ন, যাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাণিতিক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে যুক্তিনির্ভর প্রশ্ন থাকে।
এতে তুলনা, পার্থক্য, বিশ্লেষণ, গাণিতিক বিশ্লেষণ ও মন্তব্য বা মতামত চাওয়া হয়। উদ্দীপকনির্ভর প্রশ্ন হওয়ায় এর উত্তর দেয়ার আগে উদ্দীপকটি ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্নোত্তরের সঙ্গে প্রয়োগমূলক প্রশ্নোত্তরের একটা যোগাযোগ বা সমন্বয় থাকে। এই বিভাগের প্রশ্নের একাধিক বিকল্প উত্তর থাকতে পারে এবং তুলনা, পার্থক্য, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য করার একাধিক বিকল্প ভিত্তিও থাকতে পারে।
তবে ভিত্তির একাধিক বিকল্প থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল একই হয়। যেমন-ব্যাতিচারের ক্ষেত্রে কোনো গাণিতিক প্রশ্নে যদি চাওয়া হয়-গঠনমূলক না কী ধ্বংসাত্মক ব্যাতিচার সৃষ্টি হবে? এ প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তি দশা পার্থক্যও হতে পারে আবার পথ পার্থক্যও হতে পারে। অর্থাৎ কেউ যেমন দশা পার্থক্যের ভিত্তিতে মন্তব্য করতে পারে আবার কেউ পথ পার্থক্যের ভিত্তিতেও মন্তব্য করতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই উত্তর অভিন্ন ও সঠিক হবে এবং পূর্ণ নম্বর পাবে।
প্রয়োগমূলক প্রশ্নের জন্য প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে ওই অংশের জন্য তৈরিকৃত তালিকার বিষয়গুলো ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারলেই উচ্চতর দক্ষতা অংশের উত্তর করা যাবে এবং ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।
বহু নির্বাচনী অংশে ভালো নম্বর পেতে হলে বইয়ের আদ্যোপান্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চিত্র ও গ্রাফ ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের শর্টকাট পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে।
সহকারী অধ্যাপক, একেএম রহমত উল্লাহ কলেজ, ঢাকা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228