এ্যাম্বুলেন্স চালকই চিকিৎসকের ভূমিকায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর
🕐 ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৫, ২০২২
নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের ভূমিকায় দেখা গেছে এ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেনকে।
মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার চিকিৎসা দেবার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই শুরু হয় নানা সমালোচনা। ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতাল কেন্দ্রীক বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ কানে স্টেথিস্কেপো লাগিয়ে জরুরী বিভাগে রোগী দেখছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আরএমও সুরুজ্জামান শামীম জানান, বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হাসপাতাল চত্বরে দালালী করে। স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কোন স্টাফদের সাথেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। হাসপাতালে রোগী আসলেই আগবাড়িয়ে সে তাদের সাথে পরিচিত হয়। এবং তাদের সমস্যা সমাধান করার কথা বলে আর্থিক সুবিধা নেয়। জরুরী বিভাগের ঘটনাটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোগীর খোঁজ নিতে তিনি রাউন্ডে থাকার সুযোগে আমজাদ জরুরী বিভাগে ঢুকে থাকতে পারে।
হাসপাতাল চত্বরে দালালির কথা অস্বীকার করে এ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে পাশের মোমিনপুর এলাকার মারামারিতে আহত এক রোগী আসে। এসময় একজন চিকিৎসক তাকে ঐ রোগীর প্রেসার মাপতে বলেন। এসময় কেউ জানালা দিয়ে গোপনে ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়েছে। জরুরী বিভাগে তিনি এই কাজ করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি।
জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দিন জানান, বাইরের কেউ কোনভাবেই জরুরী বিভাগে রোগী দেখতে পারেনা। বিষয়টি তদন্ত করে আমজাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিভিল সার্জন রোজী আরা খাতুন জানান, এ্যাম্বুলেন্স চালক জরুরী বিভাগে রোগী দেখছেন, এটাতো হওয়ার কথা না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে সবসময় চিকিৎসক থাকার কথা। এ্যাম্বুলেন্স চালকের রোগী দেখার কোন বৈধতা নাই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।