ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আলোক ফাঁদ ব্যবহারে ঝুঁকছে কৃষক

আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ
🕐 ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০২, ২০২২

আলোক ফাঁদ ব্যবহারে ঝুঁকছে কৃষক

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ধানখেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে আলোর ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করা হচ্ছে। খেত সুরক্ষায় আলোর ফাঁদের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে ক্ষতিকর পোকা দমনের পাশাপাশি উপকারী পোকা শনাক্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হয়। ইতিমধ্যে তাড়াশ উপজেলায় এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আলোক ফাঁদ ধানের পোকা দমনে একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। আলোক ফাঁদ তৈরিতে হারিকেন, বৈদ্যুতিক বাল্ব ও সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধানখেত থেকে ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের খুঁটির সাহায্যে মাটি থেকে ২-৩ ফুট ওপরে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এর নিচে একটি পাত্রে ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখা হয়। সন্ধ্যার পর এই আলোক ফাঁদের আলোয় আকৃষ্ট হয়ে ধানখেতের বিভিন্ন পোকামাকড় এসে পাত্রের পানিতে পড়ে।

উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বৈদনাথপুর গ্রামের কৃষক মোক্তার হোসেন জানান, আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে ধানসহ ফসলের ক্ষতিকর ও উপকারী পোকার উপস্থিতি নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অতি অল্প খরচে তৈরি এ আলোক ফাঁদ অন্ধকার রাতে দেখতেও বেশ দৃষ্টিনন্দন। জমিতে অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা কমছে। ফলে একদিকে কৃষকের সাশ্রয় হচ্ছে উৎপাদন খরচ। অপরদিকে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থ সাশ্রয়ী পদ্ধতি। এতে চাষিরা নিজেরাই ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাই কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব ও ধানের ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করতে মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার প্রতিটি ব্লকে আলোকফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে।

 

 
Electronic Paper