স্বামী-স্ত্রী বাসা ভাড়া নিলেন দুপুরে, রাতেই খুন হলেন স্ত্রী
পাবনা প্রতিনিধি
🕐 ৬:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
পাবনার ঈশ্বরদীতে নতুন বাসায় ভাড়া নেওয়ার রাতেই সোনিয়া খাতুন( ২২) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী রম্নবেল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে গভীর রাতে এ খুনের ঘটনা ঘটে। সোনিয়া ঝিনাইদহ জেলার মেহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। সে ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোষাক তৈরি কারখানায় চাকুরি করতেন। তাদের হামিম নামে তিন বছরের ছেলেকেও পাওয়া যাচ্ছে না। রম্নবেল প্রবাসী ছিলেন।
গত বুধবার তিনি ঈশ্বরদী শহরের একরাম আলীর বুদুর বাসায় ভাড়া নেন। অভিযুক্ত রম্নবেল হোসেন ঝিনাইদহ মহেশপুরের হামিদপুরের হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু জানান, বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ তাঁর আত্মীয় স্বজনরা এসে দ্বিতীয়তলার একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নেয়। রাতে রান্না করে খাওয়া খাওয়া করেছে। সকাল ৮দিকে বাসার দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে দেখতে পাই সোনিয়ার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এসময় তাঁর পরনে বোরকা ছিল। গলা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহৃ রয়েছে। সোনিয়ার খালাতো বোন নারগিস আক্তার জানান, সোনিয়া গতকাল বুধবার তাঁকে মুঠোফোনে জানিয়েছে তাঁর স্বামী রম্নবেল সৌদি আরব থেকে এসেছে। রম্নবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একজন মুঠোফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর তাকে জানায়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সোনিয়ার স্বামী রম্নবেল পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, সোনিয়া খাতুনের গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এ ঘটনা সিআইডি ও পিবিআই পুলিশের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।