ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গোয়ালন্দে জেলেদের অলস সময় পার

সিরাজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ
🕐 ৬:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২

গোয়ালন্দে জেলেদের অলস সময় পার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে মাছ না থাকায় অলস সময় পার করছেন জেলেরা। মাঝে মাঝে দুই একটি বড় মাছ পাওয়া গেলেও অধিকাংশ সময় নদী থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের।

শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে চরম ভাবে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে নদীতে জাল ফেললে জাল জটা হয়ে যায় তার পর নদীতে একে বারেই মাছ নেই শুধু কষ্ট করতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলবে ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে পারছি না অনেক কস্টে আছি আমরা।

আমাদের মধ্যে অনেক জেলেরা তারা মানুষের বাড়ীতে জন খাটছে কি করার আছে সংসার তো চালাতে হবে। আমরা তো দুই ধরনের জাল নদীতে বেয়ে বেড়াই একটি হলো ফ্যাশন জাল আর একটি হলো গুটিকোনা এসব জালের মাছ নদীতে একেবারেই নেই। আজ ১০ থেকে ১৫ দিন যাবৎ বেকার হয়ে আছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা যদি আমাদের একটি জেলে কার্ড করে দিতো তাহলে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকম খেয়ে বেঁছে থাকতে পারতাম।

জেলে রহমান শেখ বলেন, প্রায় এক মাসের মত হলো মাছ ধরতে নদীতে যাচ্ছি না কারন আমরা যে মাছ ধরি সে সকল মাছ নদীতে নেই। দেখেন আমাদে জাল গুলো নদীর পাড়ে ফেলে রেখেছি। আমাদের নৌকার ভাগিরা কেউ আর নৌকায় আসছে না তারা এলাকাতে কামলা দিচ্ছে সংসার তো চালাতে হবে। দেখেন নদীতে একটিও মাছ ধরার নৌকা নেই সব নৌকা এখানে বেধে রাখা হয়েছে।

এই মাসটি আমাদের এভাবেই যাবে সামনের মাস থেকে যদি মাছ নদীতে আসে তখন আমরা আবার নদীতে মাছ ধরতে যাব। মৎস্য কর্মকর্তারা যদি আমাদের উপর একটু নজর রেখে জেলে কার্ড করে দিতো তা হলে অনেকটাই স্বস্তি পেতাম। একটি জেলে কার্ডের জন্য আমাদের মেম্বার এর কাছে ভোটার আইডি দিয়েছিলাম তাও হলো না আবার আমাদের জেলে কমিটির সেক্্েরটারির কাছে দিয়ে ছিলাম তাতেও কোন কাজ হলো না।

আরেক জেলে কালাম ফকির বলেন, নদীতে জাল বাইতে বাইতে বুড়ো হয়ে গেছি কিন্তু আজও একটি জেলে কার্ড পেলাম না। সারা বছর নদীতে জাল দিয়ে মাস ধরি কম বেশি নদীতে মাছ পাই। কিন্তু আজ এক মাস ধরে নদীতে কোন মাছ নেই। আমরা এখন কি করবো তাই সংসার চালাতে মানুষের বাড়ীতে জন খাটছি।

জেলে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো. ওয়াসিল বলেন, নদীতে ৪২টি মাছ ধরার নৌকা রয়েছে। ৪২টি নৌকাই নদীর পাড়ে বাধা রয়েছে আর সব জাল নদীর পাড়ে পালা দিয়ে রাখা হয়েছে।আমার জেলে সংগঠনে সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৭শত জন। তাদের মধ্যে সবার জেলে কার্ড নেই। কিছু জেলেদের কার্ড আছে। নদীতে কোন মাছ না থাকায় আজ এক মাস যাবৎ অলস সময় পার করছি। কিছু জেলেরা এলাকায় মানুষের বাড়ীতে জন খাটছে। বেকার বসে থাকলে তো আর সংসার চলবে না তাই জন খাটছে। আবার যখন নদীতে মাছ আসবে তখন সবাই নৌকাতে চলে আসবে।

উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা শাহ্রিয়ার জামান (সাবু) বলেন, যে সকল জেলেরা নদীতে ফ্যাশন ও গুটিকোনা জাল বেয়ে জীবিকা অর্জন করেন তারা জেলে কার্ডের আওতাধীন না। শুধু মাত্র নদীতে সারা বছর যে সকল জেলেরা ইলিশ মাছ ধরেন তারাই জেলে কার্ডের আওতাধীন। পুরাতন জেলেদের কার্ড করা আছে ১৬ শত ২৭ জন।

এবার আবার নতুন করে ২২শত জন জেলে ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই বাছাই করে কার্ড দেওয়া হবে। নদীতে মাছ নেই জেলোরা বেকার হয়ে বসে আছে এ বিষয়ে আমাদের কিছইু করনিও নেই। শধু ইলিশ মাছ ধরার উপর সরকার যখন নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন তখন জেলেদের কিছু চাউল দেওয়া হয়।

 
Electronic Paper