বিষপানে দোকান কর্মচারীর আত্মহত্যা
এনামুল হক মিলাদ, আজমিরীগঞ্জ
🕐 ৯:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের সদর বাজারে ঝন্টু দে (২০) নামে এক দোকান কর্মচারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আনুমানিক সাড়ে আটটায় আজমিরীগঞ্জ মধ্যে বাজারের গৌতম বনিকের মালিকানাধীন স্বর্নের দোকানে এই ঘঠনা ঘটে। নিহত ঝন্টু দে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামের ললিত দের পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর ঝন্টু দোকানের বাহিরে বের হয়ে যায়। রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় ঝন্টু বাইরে থেকে দোকানে প্রবেশ করে দোকানের পিছনে বমি করতে শুরু করেন। দোকানের অন্য কর্মচারীরা তাৎক্ষণিক ঝন্টুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝন্টুকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণের ছাড়পত্র দেন।
খবর পেয়ে ঝন্টুর অভিভাবক হাসপাতালে আসার পর ঝন্টুকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ঝন্টুর অবস্থা আরো অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঝন্টু সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সিলেটে রওনা দেবার পর রাস্তাই ঝন্টুর মৃত্যু হয়।
সেখান থেকে ঝন্টুর অভিভাবকরা কাউকে কিছু না বলে ঝন্টুর মরদেহ শাল্লায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে শাল্লা থানার পুলিশ আজমিরীগঞ্জ যোগাযোগ করে। মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটায় ঝন্টুর লাশ আজমিরীগঞ্জ নিয়ে আসা হয়।
দোকানের অপর কর্মচারি রাজু দাস জানান- আমি দোকানের পিছনে কাজ করছিলাম। ঝন্টু বাইরে থেকে দোকানে প্রবেশ করে পিছনে গিয়ে বমি করতে শুরু করে। অতিরিক্ত বমি দেখে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
নিহত ঝন্টুর বড় ভাই রন্টু দে জানান- রাত আটটার দিকে দোকান মালিক গৌতম বনিক বিষয়টি আমাদের জানান। আজমিরীগঞ্জ হাসপাতালে এসে দেখি ঝন্টুকে এম্বুল্যান্সে উঠানো হচ্ছে। তখন ঝন্টু জানায় সে ইদুরের বিষের ট্যাবলেট খেয়েছে,তার বুক জ্বলে যাচ্ছে। তারপর আমরা তাকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান-খবর পেয়ে আমরা শাল্লা থানা পুলিশের সাথে কথা বলে লাশ নিয়ে এসেছি। লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।