এনপিআই’র সংবাদ সম্মেলন
ক্রয়কৃত জমির দলিল বুঝে না পাওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট (এনপিআই) সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে ভূমিকা রেখে আসছে। এনপিআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে তা রাজধানীর মহাখালীতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল, কিন্তু করোনা মহামারীর লকডাউনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সর্ব সিদ্ধান্তক্রমে এনপিআই-এর জন্য নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরির লক্ষ্যে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ২০ নম্বর সেক্টরের ৪০১/বি রোডের রাজউক থেকে বরাদ্দকৃত ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৪ নম্বর প্লটসহ কয়েকটি প্লট ক্রয়ের জন্য মো. সালাউদ্দিন।
তার পরিবারের সদস্যদেরকে টাকা পরিশোধ করার পর দ্রুত সেখানে ভবন এবং স্থাপনা নির্মাণ করে প্লটের রেজিষ্ট্রি ও দলিল বুঝে না পাওয়ায় মো. সালাউদ্দিন এবং সালাউদ্দিনের পিতা জহির উদ্দিনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এনপিআই-এর শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন হুমকিতে পড়ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন মাধমে এমন অভিযোগ করেছেন এনপিআই কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী জমি’র মালিকরা। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন এনপিআই-এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. ইমদাদুল হক কাজী।
সংবাদ সম্মেলনে জনানো হয়, মো. সালাউদ্দিন এবং সালাউদ্দিনের পিতা জহির উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়ে এনপিআই-এর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রাজউক কর্তৃক বরাদ্দকৃত প্লট এবং জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্লট এবং জমি বিক্রয় বাবদ গত ১২/৩/২০২০ থেকে ২৬/০১/২০২১ তারিখের মধ্যে ব্যাংক চেক, ব্যাংক ডিপোজিট, পে অর্ডারের মাধ্যমে এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ টাকা বাবদ মোঃ সালাউদ্দিন মোট ৭৭,৫৮৯,৮২০ (সাত কোটি পঁচাত্তর লাখ ঊননব্বই হাজার আটশত কুড়ি টাকা গ্রহণ করেছেন।এখন পর্যন্ত উক্ত প্লটগুলোতে প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ বাবদ বিভিন্ন সময়ে মোট এক কোটি সত্তর লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সর্বমোট নয় কোটি পঁয়তাল্লিশ লাখ উনানব্বই হাজার আটশত কুড়ি টাকা জমি ও ভবন নির্মাণ বাবদ খরচ করার পরও সালাউদ্দিন উক্ত জমি এবং প্লট রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পরিবর্তে এনপিআইকে এই প্লটগুলো থেকে উৎখাত করার জন্য পায়তাড়া শুরু করের। কিন্তু তারা জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন নাই।
যেহেতু তারা জমির পজিশন বুঝিয়ে দিয়েছে, সেজন্য এনপিআই কর্তৃপক্ষ সরল বিশ্বাসে অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে মোঃ সালাউদ্দিন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ক্রয়কৃত উক্ত প্লট থেকে এনপিআইকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।
এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে এবং কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জমির মালিক মো. গোলাম হোসেন, মো. মকবুল হোসেন, আলতাফ হোসেন, মো. জয়নাল উপস্থিত ছিলেন।