ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল সাগরে বিলীন

কলাপাড়া ও পটুয়াখালী প্রতিনিধি
🕐 ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২

কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল সাগরে বিলীন

কুয়াকাটায় জিরো পয়েন্ট থেকে সৈকতের পূর্বদিকে ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত মাত্র তিন শ’ মিটার এলাকায় জিও টিউব ও জিও ব্যাগ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি প্রটেকশন দেয়ায় সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে রক্ষা পেয়েছে বাধ সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত। তবে এখনও ১৮ কিলোমিটার সৈকতের দীর্ঘ এলাকা অরক্ষিত হয়ে আছে। রক্ষায় কোন প্রকল্প নেয়া হয়নি।

জানা গেছে, স্থায়ী কোন উদ্যোগ না নেয়ায় দীর্ঘ সৈকতের জাতীয় উদ্যানসহ ঝাউবাগান দুই তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। কড়ই, নারিকেল, তাল ও সেগুন বাগান এখন আর নেই। জেলে পল্লীর দুই তৃতীয়াংশ স্থাপনাসহ সাগরে ভেসে গেছে। এখন উত্তাল ঢেউ বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ব্লকে ঝাপটা দেয়। মাঝিবাড়ি ও মিরা বাড়ি পয়েন্টের এই দশা। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমায় অস্বাভাবিক জোয়ারের সৃষ্ট ঢেউ সৈকতের গাছপালা সব উপড়ে ফেলছে। সৈকতের পরিধি ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে।

বর্তমানে কুয়াকাটায় সাগরের ভাঙ্গনের কারণে ঝুকিতে রয়েছে বেড়িবাঁধের বাইরের ছোট-বড় তিন শতাধিক স্থাপনা। শত শত ক্ষুদে দোকানপাট। অন্তত হাজারো মানুষের জীবন-জীবিকার অবলম্বন এই বেড়িবাঁধের বাইরের সৈকত। যেখানে দোকানের পসরা সাজিয়ে বেচাকেনা করে।

খুটা জেলেদের সংগঠন আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ জানান, বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করছে শত শত খুটা জেলেরা। সৈকত রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া না হলে এসব মানুষ হারাবে আবাসস্থল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ হোসেন জানান, কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় স্থায়ী প্রকল্প অনেক আগেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। যা এখন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে রয়েছে।

 
Electronic Paper