ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পোশাকের রাজনীতিকরণ ও বিশ্বব্যবস্থা

ইমামুল ইসলাম
🕐 ৮:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২২

পোশাকের রাজনীতিকরণ ও বিশ্বব্যবস্থা

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোশাক নিয়ে একটি মানববন্ধন হয়েছে। সেখানে একটি প্লাকার্ডে লেখা ছিল ‘খাটো পোশাক পরে বিজ্ঞানী হওয়া যায় না।’ এমন প্লাকার্ড ফেসবুকে পোস্ট করে একজন লিখেছেন ‘তাহলে বাংলাদেশে ৯৯ শতাংশ বিজ্ঞানী থাকা উচিত।’ তা উক্ত লেখায় মুসলিম নারীদের পোশাক নিয়ে একটি নিরেপেক্ষ মতামত তুলে ধরা হল।

হিজাব সাধারণত মুসলিম নারীরা মাথায় স্কার্ফ হিসেবে পরে থাকেন। বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে মুসলিম নারীদের মাঝে হিজাবের প্রচলন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে; সঙ্গে সঙ্গে হিজাবের রাজনীতির ব্যাপকতাও বৈশ্বিক বলয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। হিজাব নিয়ে যে পরিমণ্ডলেই আলোচনা হোক না কেন, কিন্তু হিজাব নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। পবিত্র কোরানে মহানবী (সা.)-এর তাঁর অনুসারীদের (সাহাবাদের) তাঁর স্ত্রীদেরকে আড়াল করার পর্দার বিধান রয়েছে।

হিজাবকে সাধারণত মার্জিত পোশাক হিসেবে ধরা যায়। পবিত্র কোরানে পুরুষ-নারীর উভয়ের জন্য মার্জিত পোশাক পরিধানের নির্দশনা রয়েছে।

মুসলিম নারী-পুরুষের পোশাকের বিধান নিয়ে সুরা আন নুরের ৩০-৩১নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে (মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। (আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে।....আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে।)

উক্ত আয়াত দুটিতে কোথাও মাথায় হিজাব পরার বিধান আছে এমন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নাই। তাই এখান থেকে হিজাব নিয়ে একটা দোদুল্যমান তথ্য পাওয়া যায়। কেউ মনে করেন হিজাব বাধ্যতামূলক, কেউ বা মনে করেন হিজাব অপশনাল।

হিজাব সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাস্তবতার নিরিখে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মাথায় স্কার্ফ কিংবা হিজাব পরিধান প্রচলিত বড় বড় ধর্মে রয়েছে। মাথা কাপড় দিয়ে আবৃত করার প্রচলন ইহুদি, খ্রিস্টান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা যায়। কিন্তু এ প্রচলিত নিয়ম তাদের মধ্যে বেশি মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়নি এবং লিঙ্গভিত্তিক বিতর্কিত ইস্যুও হয়নি। যেমনটা উনিশ শতকে মধ্যপ্রাচ্যে উপনিবেশিক শাসনামলে মুসলিম সমাজে পর্দা কিংবা হিজাব আলোড়ন তুলেছে। উনিশ শতকে পোশাকের এ ধরনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা প্রতীকে পরিণত হয়।

ঐতিহাসিকভাবে হিজাব কিংবা পর্দা অনেক সময় রাজনীতি কিংবা রাজনীতিবিদদের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। কেউ ধর্মনিরপেক্ষতার বলয়ে পরিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে হিজাব বা পর্দায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আবার কেউ ধর্মীয় খোলসে আবদ্ধ হওয়ার জন্যে হিজাব কিংবা পর্দায় বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। ইরানে ১৯৩৬ সালে রেজা শাহ পাহলভি এবং তারও কয়েক দশক আগে তুরস্কে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করেন এবং ধর্মীয় পোশাক-পরিচ্ছদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

আসলে হিজাব কতটুকু ধর্মীয় পোশাক তা নিরূপণ জরুরি। উনিশ শতকের বিশ-ত্রিশ দশকে আফগানিস্তানে রাজা আমানুল্লাহ হিজাব ও পর্দা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন। কিন্তু এর বৈপরীত্য দেখা মিলে ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষণায়। ধর্মের অনুশাসন হিসেবে হিজাব ও পর্দার উপর কঠোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয় এবং রেজা শাহের ধর্মনিরপেক্ষতা ও উদার নীতির তীব্র সমালোচনা করা হয়।

ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনামলে মিশরে হিজাব বিতর্কিত ইস্যুতে রূপ নেয়। ব্রিটিশ কনসাল লর্ড ক্রোমার ঊনিশ শতকে মুসলিম নারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্যে পর্দা ছাড়ার নসিয়ত দেন। এ সময় মিশরে হিজাব নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতবিরোধ দেখা দেয়। প্রথমত, মিশরের নারীবাদীরা হিজাবের ধারণাকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দেন; এদের মধ্যে পর্দাপ্রথাবিরোধী মনোভাব তুঙ্গে ছিল। দ্বিতীয়ত, নারীদের মধ্যে এমন একদল ছিলেন যারা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতেন। নারীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিবেন তারা হিজাব পরবেন, মাথা এক টুকরো কাপড় দিয়ে আচ্ছাদিত করবেন, নাকি মাথায় কোনো কাপড় থাকবে না। হিজাবি মাথা কিংবা হিজাবহীন মাথা এটা নারীর নিজস্ব ব্যাপার।

তৃতীয়ত, মুসলিম নারীদের একটা শ্রেণি, যারা আবার নিজেদের ইসলামি আন্দোলনের অগ্রযোদ্ধা মনে করেন; তাদের কাছে হিজাব বাধ্যতামূলক অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। সত্তরের দশকে ইরানে পাহলভি রাজতন্ত্রের অপরিসীম দুর্নীতি, রাজনৈতিক পীড়ন এবং জীবনযাপনে অতিশয় বিলাসিতার বিরুদ্ধে মুসলিম নারীরা হিজাব প্রতিবাদের প্রতীক ও প্রতিরোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এ সময় ইরানি নারীদের মধ্যে হিজাবের প্রচলন দেখা যায় এবং পাহলভি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে হিজাব প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠে।

হিজাব বা পর্দার বাস্তবতা জীবনচারণের ক্ষেত্রে অনেক বিতর্ক ও বহুমুখী প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আশির দশকে ইরানে রক্ষণশীল মুসলিম পণ্ডিত ও নেতারা নারীদের জনসম্মুখে চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেন। তবে হিজাব একটি মধ্যম ধারার (মডারেট) পোশাক যা সে সময় নারীদের সুযোগ-সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব রাখে। আশির দশকে মিশরে হিজাব নারীদের শিক্ষার অধিকার লাভ ও বাইরে চাকরি কিংবা কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। হিজাব না হলে সে সময় নারীরা এ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হত।

হিজাব, অন্যান্য প্রচলিত মধ্যম ধারার পোশাক, জিলবাব ( এমন পোশাক যা গলা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ফেলে) ও নিকাব (চেহারা আবৃত করার এক টুকরো কাপড় যা বাইরে বের হওয়ার সময় নারীরা পরে) নারীদের জীবনে এক জটিল ভূমিকাও রেখেছে। অনেক মুসলিম নারীই এ ধরনের পোশাক তখন এবং এখন ধর্মবিশ্বাসের অনুষঙ্গ হিসেবে মেনে নিয়ে পরিধান করেছে এবং করছে।

ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব ঘটার পর হিজাব নামক পোশাকটি ধর্মীয় মোড়কে ব্যাখ্যা-অপব্যাখ্যা হতে থাকে। পশ্চিমা গণমাধ্যম এমন ব্যাখ্যা প্রদান দেয় ইরানি সমাজব্যবস্থা নারীদের নীচ ও হীন মনে করে; যদিও নারীরা এক বছর আগে স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বেচ্ছায় প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে এ হিজাব পরতো।

আয়াতুল্লাহ খোমেনি যখন নারীদের হিজাব পরার বিধান আরোপ করলেন, তখন ইরানের মধ্যমপন্থি নারীবাদীরা এর বিরোধিতা করে পশ্চিমা নারীবাদী ধারার দিকে ঝুঁকে পড়ে। নারীরা হিজাবকে উপনিবেশবাদ বিরোধী যে অনুষঙ্গ মনে করতো, সেখানে খোমেনির জোর-জবরদস্তির নীতি নারীদের আত্মমর্যাদাবোধে আঘাত করেছে। এ সময় থেকে ইরানে নারীবাদের অন্তর্নিহিত চেতনার সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বিমুখী সংঘাত শুরু হয় এবং নারীরা পুরুষতন্ত্র, পুরুষতান্ত্রিক আদিপত্যবাদ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং নিজেদের মুক্তির জন্য লড়াই অব্যাহত রাখে। তখন থেকে নারীবাদ কিংবা লিঙ্গসমতাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কিংবা পাশ্চাত্য মূল্যবোধের আদলে পরিচিত করানোর প্রবণতা দেখা যায়।

আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতদের স্ত্রীরা হিজাবে নতুনত্ব এনে ব্যাপকভাবে এর প্রসার ঘটাতে থাকে; হিজাবকে তারা এক টুকরো কাপড়ের চেয়ে বেশি কিছু ভাবতে শুরু করে এবং মুসলিম নারীদের প্রতীকে পরিণত করে। তারা হিজাবকে ফ্যাশনের ঊর্ধ্বে কিছু ভাবা শুরু করেন। কাঁধে এ ধরনের কাপড়ের টুকরো চাপানো যেমন ফ্যাশন, কিন্তু মাথায় চাপানো বিধিবিধানের অংশ এমনটা মানতে নারাজ তারা। কিন্তু হিজাবের গৎবাঁধা ছকটির এ ধারণা পরিবর্তন ঘটে ৯/১১ এসে।
মার্কিন মুলুকে আল কায়েদার সন্ত্রাসী হামলা মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাবাপন্ন মনোভাব সৃষ্টি করে। America is for the Americans, Go home, Death to Muslim, I hate you- এমন প্রতিহিংসামূলক মন্তব্য মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ছুঁড়তে থাকে। সেক্ষেত্রে হিজাব পরিহিত নারীরা চরম হেনস্থার শিকার হন। এ সময় এক মুসলিম নেতা ঘোষণা দিল- Tf they (muslim women) do not wear hijab, how will Americans recognise them that they are American muslims.

এ সময় হিজাবি নারীরা কর্মক্ষেত্রে, বিমানবন্দরে, রেলস্টেশনে কিংবা বাসস্টপেজে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় এবং বর্ণবাদের বিষাক্ত রোষানলে পড়েন। হিজাবি মুসলিম নারীদের আমেরিকায় থাকতে হলে হিজাব ছাড়তে হবে। হিজাব না ছাড়লে তার আমেরিকান নাগরিকত্বের আনুগত্য সন্দেহ করা হত। এমন সময় হালিমা নামে এক হিজাবি নারীকে তার সহকর্মী পরামর্শ দিয়েছেন আমেরিকার জাতীয় পতাকা মাথায় পেঁচিয়ে চলাচল করতে। তাহলে তার রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

৯/১১-এর পর ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে তার সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের অনুসন্ধানকে আফগান নারীদের মুক্ত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ ঘোষণা এমন একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। কারণ এ সময় আল কায়েদার চরম নীতিতে নারীদের চোখ-মুখ ঢেকে বোরকা পরতে হয়েছিল, যা এমনকি চোখ ঢেকে রাখে। ২০০১ সালে বোরকা পুরুষতান্ত্রিক তালেবানদের হাতে নারী নিপীড়নের প্রতীক হয়ে ওঠে। আপগানিস্তানে পাশ্চাত্যের ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ নারীকে মুক্ত করার বিষয়টিও উঠে আসে। ফার্স্ট লেডি লরা বুশ নভেম্বর, ২০০১-এ একটি রেডিও ভাষণে এটি স্পষ্ট করে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইও মহিলাদের অধিকার ও মর্যাদার লড়াই (the fight against terrorism is also a fight for the rights and dignity of women. )

সম্প্রতি আমেরিকান সৈন্য তল্পি-তল্পাসহ চলে যাওয়ার পর সেখানে আবার তালেবানি উত্থান দেখা দেয়। তালেবানের প্ররুষ প্রতিনিধিরা নারীদের চালচলন পর্যবেক্ষণ করার জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। মার্কেটে নারীরা কীভাবে আসছে, বোরকা-নিকাব পরছে কিনা কা পর্যবেক্ষণ করছে। তালেবানরা এসব পোশাক আবারো চাপিয়ে দিচ্ছে আফগানিস্তানের নারীদের উপর।

বোরকা পরা নারীদের সেই প্রাথমিক চিত্রায়নের প্রভাব যুদ্ধের মঞ্চে বাইরেও প্রতিফলিত হয়েছিল। ২০০৪ সালে ফ্রান্সে ‘হিজাবে নিষেধাজ্ঞা’ দিয়ে একটি আইনের সূচনা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞার পর ফ্রান্সে দেশব্যাপী নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রাজনীতিবিদরা যারা এর পক্ষে ছিলেন তারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে পুরুষ দ্বারা মহিলাদের উপর নেকাব চাপানো হয়। তারা নেকাব পরাকে আফগানিস্তানে তালেবান-প্রবর্তিত বোরকার সাথে তুলনা করেছে। ফরাসি মুসলিম নারীদের পাল্টা যুক্তি দিয়েছিল তারা নিজেদের পছন্দে নেকাব পরে। কিন্তু ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে এ নিষেধাজ্ঞার আইন আইনগতভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু ফ্রান্সের আইন বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দিয়েছিলেন আদালত পারে নিকাব পরিধানকারী মহিলাদের এ অবস্থানকে মেনে নিতে যারা এটি তাদের নিজ পছন্দে পরে।

হিজাব ও নেকাব বিতর্কিত হয়ে উঠেছে; কারণ এগুলোকে রাজনৈতিক প্রতীকের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, ধর্মীয় আমদানি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ভূ-রাজনৈতিক অনুঘটক দ্বারা দূষণ করা হয়েছে। ইসলামি পোশাকের প্রতি কথিত মনোভাব ব্যবহার করে এ পোশাকগুলো নিয়ে আরো বাড়াবাড়ি হয়েছে। এছাড়াও মুসলিম নারীরা নিজেরাই এটি সম্পর্কে যে অন্তর্দৃষ্টি তৈরি করেছেন তা ছাপিয়েছে বিশ্বপরিমণ্ডলে।

 
Electronic Paper