ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এক টুকরো স্মৃতি

আহসান হাবীব
🕐 ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৮

বড় ভাইয়ের সাথে অনেক স্মৃতি। তার প্রতি জন্মদিনে তাকে নিয়ে কিছু না কিছু লিখেছি। লিখতে লিখতে এখন মনে হচ্ছে সবই লিখে ফেলেছি। তার সেন্স অব হিউমার ছিল প্রবল। জোকস পড়তে বেশ পছন্দ করতেন। আমার জোকস সমগ্রের একটা কপি তার নুহাশপল্লীতে নিজস্ব কালেকশনে ছিল। মাঝে মাঝেই নাকি পড়তেন।

সে জোকস পড়তে যেমন পছন্দ করতেন বলতেও পছন্দ করতেন। তার আড্ডায় হাসি-ঠাট্টার একটা ব্যাপার থাকতই, সেখানে জোকসও অবধারিত। অবশ্য সবসময়ই যে জোকস বলা হতো তা নয়। তাদের আড্ডায় সমসাময়িক অনেক সিরিয়াস বিষয় নিয়েও আলাপ হতো। আমার মনে আছে এক আড্ডায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘এই তোমরা কেউ হুমায়ূনের কথাগুলো লিখে রাখ এগুলো তো হারিয়ে যাবে’। তার মানে তার আড্ডার কথাবার্তা লিখে রাখার মতোই ছিল।

শেষবার সে যখন পল্লবীতে আমার বাসায় এলো তখন খেতে বসে একটা জোকস বলেছিল। তার মুখ থেকে শোনা সেটাই আমার শেষ জোক। সেই জোকসটা বরং পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করি।

এক লোক দাওয়াতে গেছে। টেবিলের ওপর নানান পদের খাবার সবই নানান সবজি দিয়ে রান্না করা হয়েছে। তবে কোন খাবারের রান্নাই সুবিধার হয়নি, মুখে দেয়া যাচ্ছে না। তো বাড়ির মালিক জানতে চাইল...
-কি ভায়া রান্না কেমন হয়েছে?

লোকটা মুখে বলল ‘সালাদটাই সবচে ভাল হয়েছে!’ মনে মনে বলল ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে সালাদের শসাই এক মাত্র সবজি যা কোনো তরকারিতে দেয়া যায় না...!’

জোকসটার মধ্যে স্যাটায়ার নয় ল্যাম্পুনের একটা ব্যাপার আছে। যেটা তার বলার সময় আমরা শুনে হেসেছি। এখন লিখতে গিয়ে হয়তো পাঠককে পরিষ্কার বোঝাতে পারলাম না। সে নেই। তার ফেলে যাওয়া আনন্দ বেদনার স্মৃতি নিয়ে আমরা এই নন্দিত নরকে বেঁচে আছি। তার এক টুকরো স্মৃতিই এখন আমাদের আশ্রয়।

 
Electronic Paper