ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চের ভাড়া নৈরাজ্য

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
🕐 ৮:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২২

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চের ভাড়া নৈরাজ্য

দেশের ব্যাস্ততম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগন্জের পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত লঞ্চ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ আগষ্ট রাত বারোটায় দেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকারী কোন ঘোষনা ছাড়াই ৬ই আগষ্ট সকাল থেকেই এই রুটে লঞ্চ পারাপারে প্রতি যাত্রীর ভাড়া সরকার নির্ধারিত ৩০ হলেও টাকা হলেও কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১০ টাকা হারে ৩০ টাকার টিকিট ৪০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ এর দায়িত্ব থাকলেও তাদের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করেন।

সেখানে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএ এর ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর শিমুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, এটা অন্যায় যেহেতু সরকারি নির্দেশনা আসে নাই কিন্তু তারা অনৈতিক ভাবে ভাড়া বাড়িয়ে জনগণের কাছ থেকে আদায় করছে। আমাদের কথা শুনছে না আমরা স্থানীয় প্রশাসনসহ ব্যাপারটি আমাদের উপর মহলে জানিয়েছি। সেখানে দায়িত্ব ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আফতাব হোসেন ফোনে জানান তিনি ছুটিতে আছেন তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন না।

শনিবার (১৩ আগষ্ট) সকালে সরজমিনে লঞ্চ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চঘাটের ওভারব্রিজের ওপরে সাত-আটজন লোক পাটুরিয়া ঘাটগামী যাত্রীদের কাছে ৪০ টাকা করে লঞ্চের টিকিট বিক্রি করছে। যদিও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রতিজন যাত্রীর বর্তমান লঞ্চ ভাড়া সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকা। অথচ গত শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

দৌলতদিয়া টার্মিনালে ভিড়ে থাকা পাটুরিয়া ঘাটগামী মেসার্স যমুনা রিভার লাইন লঞ্চের যাত্রী রমিজ হাওলাদার, নিজাম আহমেদ, রিয়ান মাহমুদ প্রমুখ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। ৩০ টাকার টিকিট দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে , অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বেআইনি।

কর্তব্যরত দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের মালিক সমিতির ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, 'লঞ্চ মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমেই শনিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত দশ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।' এখনো সরকারি কোন নির্দেশনা আসে নাই তাহলে আপনারা কিভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। তিনি বলেন লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও রহিম খানের নির্দেশে তারা এই ভাড়া নিচ্ছেন। তবে তারা আশা প্রকাশ করেন খুব শীঘ্রই তাদের নেতারা সরকারি অনুমোদন নিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক (পোর্ট) দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি তার সেখানে সেটা বন্ধ করে দিয়ে আসছি কিন্তু পরক্ষণেই তারা অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বলে জেনেছি। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কে জানানো হয়েছে। তিনি আবারও দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

 
Electronic Paper