‘পতেঙ্গা সৈকতে প্রবেশ উন্মুক্ত রেখেও ব্যবসা সম্ভব’
জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম
🕐 ৮:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২২
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সর্বজনীন উন্মুক্ত পরিসরে ভ্রমণ পিপাসুদের আগমন উন্মুক্ত রেখেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেকান্দার খান।
তিনি বলেন, সৈকতে আগতদের বিনোদন ও অবসরের প্রেক্ষিতে জলযান ভ্রমণ, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, হরেক রকমের দোকান, খেলার ব্যবস্থা ইত্যাদি নির্মাণ করা যায়। যা চউকের নিয়ন্ত্রণাধীনে রেখে পরিচালনা পাশাপাশি ব্যক্তিগত খাতে ইজারা দিয়ে সহজেই মুনাফা উঠিয়ে আনা সম্ভব। আর এ পথেই অগ্রসর হওয়ার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সুলতান আহমদ মিলনায়তনে সিডিএ কর্তৃক পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইজারা প্রদানে নাগরিক স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী পরিকল্পনার প্রতিবাদে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত জনগণের সম্পদ। সেটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। সেখানে জনগণের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা যাবে না। যার যার ব্যবসা সে করুক, আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু জনগণের প্রবেশ বন্ধ করা যাবে না।
তিনি বলেন, সর্বসাধারণের যে অধিকার রয়েছে সেটি হরণ করা হচ্ছে। সার্কিট হাউসের মাঠ, ফয়’জ লেক চলে গেছে। চাইলেও আমরা এমন নৈসর্গিক পরিবেশে বসে সময় কাটাতে পারবো না। বাণিজ্যিকীকরণের কারণে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া। তিনি বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ৭ কিলোমিটার পরিসরের ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পরিসরকে পর্যটন জোন-১ এবং পর্যটন জোন-২ হিসেবে ভাগ করে টেন্ডারের মাধ্যমে ২৫ বছরের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইজারা দিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
শাহরিয়ার খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহ-সভাপতি আহমেদ জিন্নুর চৌধুরী, প্রকৌশলী এবিএম এ বাসেত, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা মুনা।