কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ গ্রেফতার ৭
আশিকুর রহমান, নরসিংদী
🕐 ৭:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২২
নরসিংদীর সদর উপজেলার হাজীপুরে এক কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্যসহ ৭ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাজীপুর ইউনিয়নের গেটবাজার এলাকায় টহলরত পুলিশের হাতে আটক হন তারা। আটক ৭ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বয়স ১৬-১৯ বছরের মধ্যে। সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।
পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যার পর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে রায়পুরার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাতাকান্দী গ্রামের নূর মোহাম্মদের বাড়িতে একটি শালিস-দরবার অনুষ্ঠিত হয়। যেকোন ভাবে রায় নিজেদের পক্ষে নিতে ওই শালিসে উপস্থিত থাকার জন্য ওই কিশোর গ্যাংটিকে দাওয়াত দিয়েছিলেন নূর মোহাম্মদ।
শালিসের রায় পক্ষে আসার পর রাতে তাদের নরসিংদী শহর পর্যন্ত এগিয়ে দিতে সঙ্গে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে হাজীপুরের গেটবাজার এলাকায় তাদের বহনকারী অটোরিকশাটিকে সন্দেহ হলে থামিয়ে তল্লাশী চালায় টহল পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি, ২টি চাইনিজ কুড়াল ও ২টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
আসামী ৮ আসামী হলেন, রায়পুরার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাতাকান্দী গ্রামের মৃত মাতব্বর আলীর ছেলে নূর মোহাম্মদ (৪০), তার ছেলে মো. শ্রাবণ (১৯), সদর উপজেলার হাজীপুরের সওদাগর পাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে হাসান মিয়া (১৭), জামাল মিয়ার ছেলে ফাহিম হাসান নাফিজ (১৬), মো. হারুন মিয়ার ছেলে মো. হৃদয় মিয়া (১৭), শহরের বীরপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মো. শরীফ মিয়া (১৭), সোহেল ভূঁইয়ার ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (১৭), মো. সোহেল মিয়ার ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (১৯)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন জানান, ওই শালিস-দরবারের রায় বিপক্ষে গেলেই হয়তো কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সেখানে রক্তারক্তি কান্ড ঘটাতেন। ওই কারণেই এতগুলো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তারা। এই কিশোর গ্যাংটির নেতৃত্বে কে বা কারা আছেন তা জানতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
এদিকে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, এক কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্যসহ ৭ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শনিবার বিকেলে নরসিংদী মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক গৌতম সরকার বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন উপপরিদর্শক নূর হোসেন। মামলার এজাহারে ৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। অপর আসামী শ্রাবণকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নরসিংদীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।