ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘ইভ্যালির টাকা ফেরত অসম্ভব’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ০১, ২০২২

‘ইভ্যালির টাকা ফেরত অসম্ভব’

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। দুটি ওয়্যার হাউজে সর্বসাকুল্যে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। অ্যামাজন কোনো সহযোগিতা করেনি। পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় ইভ্যালির সার্ভারে ঢোকাও যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারী আনতে না পারলে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ অসম্ভব।

শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান উচ্চ আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির বর্তমান নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

তিনি বলেন, ইভ্যালির দুই ধরনের পাওনাদার রয়েছে। যারা সাপ্লাইয়ার আর যারা ক্লায়েন্ট। এখানে সাপ্লায়ারদের পাওনা বেশি। বর্তমানে ইভ্যালির যে সম্পদ রয়েছে তাতে পাওনাদারদের সন্তুষ্ট করা অসম্ভব।

ঢাকার সাভারে ইভ্যালির দুটি ওয়্যার হাউজে সর্বসাকুল্যে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এছাড়া নয়টা ছোট পুরাতন কাভার্ডভ্যান ও ৫টা গাড়ি পেয়েছি। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই...। যা পাওনাদারদের টাকার তুলনায় কিছুই না, এটা সমুদ্রের মতো পাওনাদের টাকা পরিশোধ অনেকটা এক ফোঁটা পানির মতো অবস্থা।

ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন বলে উচ্চ আদালতে একটি আর্জি দিয়েছেন। তারা যদি বিনিয়োগকারী আনতে পারে তবেই কোম্পানি চলবে, পাওনাদাররাও টাকা পাবে। এটা নির্ভর করছে তারা বিনিয়োগকারী আনতে পারবেন কি-না।

ইভ্যালির সার্ভারের এক্সেস না থাকায় দেনা-পাওনা ও লেনদেনের সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইভ্যালির সার্ভারটি অপারেট করার অনেক ধরনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এটির পাসওয়ার্ড আমাদের কাছে নেই..। পাসওয়ার্ড জানতে আদালতের অনুমতি নিয়ে আমরা জেলে গিয়ে রাসেলের সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনি লিখিত দিয়েছেন, ‘পাসওয়ার্ডটি তার মনে নেই। এটি তার ডেস্কের ড্রয়ারে একটি কালো ডায়েরিতে রাখা।’

এরপর আমরা দেশের এটুআই, সিআইডিসহ একাধিক আইটি এক্সপার্টদের সঙ্গে বসে পাসওয়ার্ডটি উদ্ধারের চেষ্টা করেছি, কিন্তু সম্ভব হয়নি। সার্ভারটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যামাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা শুধু একটি কথাই বলেছে ‘পাসওয়ার্ড ছাড়া কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়।’

ইভ্যালির বর্তমান এমডি মাহবুব কবীর মিলন এ বিষয়ে বলেন, আমরা ইভ্যালির আইটি প্রধান তানভিরের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে আমাদের বলেছে, রাসেল গ্রেপ্তারের আরও দু'মাস আগে সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে.., তখন আইডি পাসওয়ার্ড সব রাসেলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। পরে তার আগের পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করে দেখেছে এক্সেস সম্ভব হয়নি, তারমানে রাসেল পরে আবার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেছে। তানভিরের অধীনে যারা কাজ করতেন তারাও পাসওয়ার্ডের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।

 
Electronic Paper