ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
আরিফ জাওয়াদ, ঢাবি
🕐 ৪:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ০১, ২০২২
দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশে ১০২তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ১০১ বছর পার করে ১০২তম বর্ষে পদার্পণ করল দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন হলের পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা শতবর্ষের থিম সং ও ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গান পরিবেশন করে। এর আগে হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শোভাযাত্রা সহকারে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের খেলার মাঠে সমবেত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অ্যালামনাইবৃন্দের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
বেলা ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয়। করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
এানয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গবেষণা ও উদ্ভাবনে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এক্ষেত্রে সরকার, একাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যালামনাইদের একযোগে কাজ করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সব দেশের অনেক খ্যাতিমান অধ্যাপক শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণা কর্মকান্ড পরিচালনা করে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক জ্ঞান বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ণশিপ প্রোগ্রাম চালুর জন্য উপাচার্য শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
মূল প্রবন্ধে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, শিক্ষক-গবেষক এবং শিল্পখাতের যৌথ গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে উভয়পক্ষ তথা দেশ উপকৃত হবে। প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল ক্সতরি এবং শিল্পখাতে নানা উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ইতোমধ্যে একটি শিল্পখাত-একাডেমিয়া সহযোগিতা প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য বাস্তবতার মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট করণীয়সমূহ চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এব্যাপারে সরকার বাস্তবতা-ভিত্তিক যথাযথ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে
পারে ।
এাময় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সিনেট সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।