ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সুন্দরগঞ্জে চলাচলের রাস্তায় বাঁশে বেড়া!

সুদীপ্ত শামীম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
🕐 ৪:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২২

সুন্দরগঞ্জে চলাচলের রাস্তায় বাঁশে বেড়া!

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১৪ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এতে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় সাত দিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে পরিবারগুলো।

উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বোয়ালী মাস্টার পাড়ায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমানের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় একসপ্তাহ ধরেই গৃহবন্দী রয়েছেন। এতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।

সরজমিন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমা-জমি নিয়ে প্রতিবেশী কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল মোখলেছুর রহমানের। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে বিভিন্ন সময় সালিশও ডাকা হয়েছিল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানের সালিশে প্রতিপক্ষ উপস্থিত না হয়ে উল্টো তাদের চলাচলের রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয় প্রতিবেশী মৃত মমতাজ আলীর ছেলে আকাব্বর আলী, মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে নুরুন্নবী, রুহুল আমীনের ছেলে আসাদুজ্জামান।

ফলে গত ২২ জুন থেকে রেকর্ডভূক্ত ওই রাস্তা দিয়ে অবরুদ্ধ ১৪ পরিবারের কেউ যাতায়াত করতে পারছে না। সেইদিন থেকে অবরুদ্ধ এই ১৪ পরিবারের ৬ জন কলেজ পড়ুয়া ৩ জন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ জনসহ মোট ১৭ জন শিক্ষার্থীও স্কুলে যেতে পারেনি। এরআগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একইভাবে প্রতিপক্ষরা তাদের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল। এতে বাজারঘাটসহ জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো। এছাড়াও নানা হুমকি ধামকিতে শঙ্কিত তারা।

এরআগে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁশের বেড়া তুলে দিয়ে তাদের যাতায়াতের সুযোগ করে দেন। পরে তিনি জমি-জমা নিয়ে বিরোধের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস বসে সমাধানের জন্য তাগিদ দেন। কিন্তু তারা শালিসে না বসে আবারো তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ চলছে। বিভিন্ন সময় তাদের সালিশে ডাকা হলেও তারা কেউ আসেনা। গত একসপ্তাহ আগে আমাদের চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা একঘরে হয়ে আছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে না পারায় বেকায়দায় আছি।’

ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘ইতোপূর্বেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। পরে বাঁশের বেড়া খুলে দেওয়ার পরে দু’পক্ষকেই স্থনীয়ভাবে বৈঠকে বসার আহবান জানানো হলেও তারা আসেনি। তাই তাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াত পথ বন্ধ করা দুঃখজনক।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’

 
Electronic Paper